বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
দখলদারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

সুন্দরবনে কে এত প্রভাবশালী?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী, খাল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক জলাশয়ের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে মাছ চাষের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাসস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু ব্যক্তি সুন্দরবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী, খাল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক জলাশয়ে অনৈতিকভাবে মাছ চাষ করছে। সুন্দরবনে কে এত প্রভাবশালী? এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি আমাদের নদী ও জলাশয়গুলো ধ্বংস করছে, তা আপনাদের দেখতে হবে এবং তারা যে-ই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি গতকাল রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দানকালে এ নির্দেশ দেন।
মৎস্য অধিদফতর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ সায়েদুল হক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিনা আফরোজ ও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মৎস্য খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে ‘সাগর নদী সকল জলে, মাছ চাষে সোনা ফলে’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছরের ২০১৫ মৎস্য সপ্তাহ গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন এলাকায় নদী ও খালগুলোতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছ চাষ চলছে, যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ও এর সংলগ্ন নদী ও খালগুলোর জন্য ক্ষতিকর। এ জন্য এ ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ঘাসিয়াখালী খালের খনন শুরু করেছে। এ ঘাসিয়াখালী খালের সঙ্গে ছোট ও বড় অনেক খাল যুক্ত হয়েছে। কিন্তু কিছু ব্যক্তি পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে ঘের তৈরির মাধ্যমে এসব খালে অনৈতিকভাবে মাছ চাষ করছে। প্রধানমন্ত্রী এসব অঞ্চল ঘুরে এভাবে অনৈতিক পন্থায় মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে খুলনা অঞ্চলের অধিবাসী মৎস্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে অবৈধ মাছ চাষিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর