বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ ধেয়ে আসছে

৭ নম্বর বিপদ সংকেত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে মানুষ

উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ‘কোমেন’ নামের এ ঝড় আজ বিকাল নাগাদ আঘাত হানতে পারে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং মংলা ও পায়রা বন্দরে ৫ নম্বর  বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঢাকা অফিসের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস গত রাত সাড়ে ১১টায় এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, পেকুয়াসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় লোকজনকে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৫-৬ হাজার লোককে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) অনুপম সাহা রাত ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ডাকেন। সেখান থেকে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মাইকিং করার জন্য বলা হয়। এরপরই সব উপজেলায় মাইকিং করে লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়। পতেঙ্গা আবহাওয়া দফতর জানায়, গভীর নিুচাপটি গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ দুপুর কিংবা বিকাল নাগাদ বরিশাল ও চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।  উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিুাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদেরা। চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর