শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা
মাগুরায় শিশু গুলিবিদ্ধ

ধরাছোঁয়ার বাইরে সেই গুলিবর্ষণকারীরা

ধরাছোঁয়ার বাইরে সেই গুলিবর্ষণকারীরা

মাগুরায় যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় মাতৃগর্ভে শিশু ও তার মা নাজমা খাতুন গুলিবিদ্ধ এবং একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন গুলিবর্ষণকারীরা। আট দিনেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
মাগুরার পুলিশ সুপার এ এস এম আহসান উল্লাহ বলেন, ‘পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সার্বিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই বাকিদের গ্রেফতার করতে পারব। মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশের দুটি টিম সর্বক্ষণ কাজ করছে। ওই এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ে যুবলীগের সমর্থক দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ আজিবর ও মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ যুবলীগ কর্মী কামরুল ভূঁইয়ার বড় ভাইয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা খাতুন ও চাচা মমিন ভূঁইয়াকে গুলি করে গুরুতর আহত করে। তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই দিন রাতেই অপারেশনের মাধ্যমে মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ হওয়া কন্যাশিশুর জন্ম হয়। আহত মমিন ভূঁইয়া শুক্রবার রাতে মারা যান। শিশুটিকে শনিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছে। এ ব্যাপারে ২৫ জুলাই রাতে ১৬ জনের নামে মামলা হয়। পরদিন সুমন হোসেন ও আবদুস সোবহান নামে দুই সন্দেহভাজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বাকি আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। এদিকে আহত নাজমা বেগম তার মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাকে সরকারিভাবে ঢাকায় পাঠানোর জন্যও মাগুরার পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি আসামি মোহাম্মদ আলী, আজিবরসহ বাকিদের দ্রুত গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন। শিশুর বাবা বাচ্চু ভূঁইয়া জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামিদের গ্রেফতার না করায় তারা অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইলে তার পরিবারের অন্যদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি দ্রুত মূল আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। নিহত মমিন ভূঁইয়ার ছেলে রুবেল ভূঁইয়া বলেন, ‘আসামিরা ধরা না পড়ায় আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। প্রশাসনের কাছে দাবি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করুন।’

সর্বশেষ খবর