মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

অসময়ে আদা রসুন পিয়াজের ঝাঁজ

এক সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে পিয়াজের দাম। স্থিতিশীল নয় আদা-রসুনের দামও। ফলে বাজারে এখন পিয়াজের অস্বাভাবিক ঝাঁজ। আমদানিকারকদের মতে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের বাজারে পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব সরাসরি এখানকার বাজারে পড়েছে। তার ওপর সপ্তাহকালেরও বেশি সময় ধরে টানা বৃষ্টিপাত ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে দেশের স্থলবন্দর দিয়ে উল্লেখ করার     মতো পিয়াজের পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে এটিও একটি কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক সপ্তাহ আগেও খুচরা বাজারে পিয়াজের কেজিপ্রতি দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। গত এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৭ থেকে ২০ টাকা। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে একাধিক আড়তদার বলেছেন, পিয়াজের এ বর্ধিত দাম আগামী অন্তত এক মাস বিরাজমান থাকবে। খাতুনগঞ্জের পিয়াজ-রসুনের আড়ত ইরা করপোরেশনের পরিচালক রিতাপ উদ্দিন বাবু ও সাতক্ষীরার পিয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস এম ইন্টারন্যাশনালের আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত কয়েক দিন পিয়াজ আমদানি কম হয়েছে। ভারতের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আমদানি কম হচ্ছে। দক্ষিণ ভারতের পিয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত আগামী এক মাস পিয়াজের দাম চড়াই থাকবে।’ জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন বাজারে এখন দেশি ‘হালি’ পিয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এটি এপ্রিলের শুরুর দিকে বাজারে এসেছে। এ পিয়াজের উৎপাদন বেশি হয় বলে ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বাজারে থাকে। পরবর্তী দেশি পিয়াজ ‘মুড়িকাটা’ বাজারে আসবে ডিসেম্বর নাগাদ। এখন দেশি হালি পিয়াজ বাজারে থাকার পরও পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে টানা বৃষ্টিপাত ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় অভ্যন্তরীণ যোগাযোগবিচ্ছিন্নতার সাময়িক প্রভাবকে দায়ী মনে করছেন অনেকে। এদিকে পাইকারি ও খুচরা বাজারে আদার দাম অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও রসুনের দাম খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী। চীন ও মিয়ানমারের আদা আসায় পাইকারি বাজারে এখন প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৩ টাকায়। আর রসুন ৮০-৮৫ টাকায়। গত সপ্তাহে রসুনের দাম ছিল ৭৮-৮০ টাকা। ফলে রসুনের দামও স্থিতিশীল থাকছে না।

সর্বশেষ খবর