সড়কে ফিটনেসবিহীন মোটরযান চলাচল বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার চালকের হাতে থাকা ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স জব্দেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য ডেইলি সানে ২ আগস্ট এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আদেশে যারা ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া মোটরভেহিকেল অর্ডিনেন্স-১৯৮৩ এর আওতায় পড়ে না কিন্তু মোটরযান হিসেবে চলাচল করে এমন সব যানও চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি’র (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ভুয়া লাইসেন্সের বিষয়টি জানার পর কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন (যোগাযোগ) সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, আদালত ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া প্রায় ১৯ লাখ ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স জব্দ করে ওই সব চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।