মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দুই দেশের

আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দুই দেশের

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ছিটমহল সংকট নিরসন হওয়ায় দুই দেশের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে কিছু সময় নষ্ট হয়েছে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের মাত্র দুই মাসের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন অন্যান্য ঝুলে থাকা বিষয়ের বাস্তবায়নও প্রক্রিয়াধীন। গতকাল রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশে ব্যবসায়রত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফআইসিসিআই বা ফিকি) আয়োজিত মাসিক মধ্যাহ্ন ভোজসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। ফিকি সভাপতি রূপালী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক জামাল ওসমান। এ মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত নিকোলাস আলেকজান্ডার বো, ফিকির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ক্রিস্টোফার ইয়াং প্রমুখ। মধ্যাহ্ন ভোজসভায় পঙ্কজ শরণ আঞ্চলিক সম্পকোন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পাইওনিয়র অভিহিত করে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে দুই দেশের বিভিন্ন খাতের সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে সার্ক অর্থনৈতিক ইউনিয়ন এখন গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি এখন আর কোনো প্রশ্ন নয়। ভারতের পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০১৪ সালে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। একই সঙ্গে এ বন্দর দুটি দিয়ে গত বছর ১২ লাখ মানুষ যাতায়াত করেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে তার দেশের সহায়তার কথা জানিয়ে পঙ্কজ শরণ বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানে বাণিজ্য বাড়াতে ট্রানজিট ও মোটরযান চলাচল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ক্ষেত্রে এ চারটি দেশ অনেক সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশের এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন বিদেশি বিনিয়োগ পেতে সহায়তা করবে ভারত। ফিকি সভাপতি রূপালী চৌধুরী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে ঐতিহাসিক আখ্যায়িত করে বলেন, মোদি ৬৮ বছরের ঝুলে থাকা ছিটমহল বিনিময় সদস্যার সমাধান করেছেন। এতে প্রায় ৫২ হাজার মানুষ নাগরিকত্বের স্বীকৃতি পেয়েছেন। পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য সহজতর হয়েছে। তিনি দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে শুল্কবন্দর সমূহ, পণ্যমান নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানিতে নেতিবাচক পণ্যের তালিকা সংশোধন এবং ব্যাংক ও আর্থিক সহায়তা বাড়াতে ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।-নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ খবর