বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্লাস বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পিছিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তারা তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন পিছিয়ে দেয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৯ অক্টোবর কর্মবিরতি ও ১ নভেম্বর অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা। এর আগে গতকাল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা দুপুর ২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করেন। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নাসরীন বেগম জানান, ‘আমরা এখন মনে করছি কঠিন কর্মসূচি ছাড়া আমাদের দাবি আদায় হবে না। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সারা দেশের সরকারি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষা ক্যাডাররা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সামনে মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সমিতির মহাসচিব আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি মন্ত্রী। তবে তিনি জানিয়েছেন, আমাদের দাবির ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছেন। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনের তারিখ পরিবর্তন করেছি মাত্র। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৩ ও ১৪ অক্টোবর ক্লাস বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এটি পরিবর্তন করে ১৯ অক্টোবর ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এ ছাড়া ১৮ অক্টোবর শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এ তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ১ নভেম্বর অবস্থান করব আমরা।’ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা ক্যাডারদের অধ্যাপক পদে বেতন বৈষম্য নিরসনে আমাদের দাবিকে বিবেচনায় না এনে বরং ঘোষিত বেতন কাঠামোতে অধ্যাপক পদের স্কেল ও গ্রেড অবনমন করা হয়েছে। সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাতিল করায় প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপকসহ শিক্ষা ক্যাডারের সব স্তরের বেতন বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সমিতির সভাপতি নাসরীন সুলতানা বলেন, আমরা শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চাই না। ঘোষিত কাঠামোতেই আপগ্রেডেশন এবং সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল রেখে শিক্ষকদের এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো হলে আমাদের ক্যাডার থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে। এসব চক্রান্ত হচ্ছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

সর্বশেষ খবর