জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাজশাহী থেকে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন ব্র্যাক ব্যাংক রাজশাহী নগরীর আলুপট্টি শাখার সেলস অ্যান্ড সার্ভিস অফিসার সুলতান নাহিদ ও ক্রেডিট কার্ড অফিসার এইচ এম শাহরিয়ার। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাংক থেকে বাসায় ফেরার পথে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় রংপুরের পুলিশ তাদের আটক করে। গতকাল তাদের রংপুরে আনা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুনুর রশীদ মামুন জানান, আটক নাহিদ কোনিও হত্যা মামলার আসামি হুমায়ুন কবীর হীরার খালাতো ভাই। আর শাহরিয়ার হলেন নাহিদের বন্ধু। তারা দুজনই রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়ায় ভাড়া থাকেন। গ্রেফতারকৃত হীরাকে গত মঙ্গলবার থেকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতেই নাহিদ ও শাহরিয়ারকে আটক করা হয়েছে। একই মামলায় রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাসেদ উন নবী খান বিপ্লবকেও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে জাপানি হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিপ্লব ও হীরাকে কোনিও হত্যা মামলায় আসামি দেখিয়ে পুলিশ মঙ্গলবার থেকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়ায় জাকারিয়া বালার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন কোনিও। তিনি নিহত হওয়ার পরপরই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকারিয়া বালা, তার শ্যালক হুমায়ুন কবীর হীরা, রিকশাচালক মোন্নাফ আলী, যে বাড়ির সামনে নিহত হন কোনিও সেই বাড়িওয়ালার ছেলে মুরাদ হোসেন, রংপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান লাকু ও সদস্য রাসেদ উন নবী খান বিপ্লবকে আটক করে। তাদের মধ্যে বিপ্লব ও হীরাকে ওই মামলায় আসামি দেখানো হলেও অন্য চারজনকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলছেন না পুলিশ। দাফনের সিদ্ধান্ত হয়নি : এদিকে কোনিওকে রংপুরে সমাহিত করার বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। গত রবিবার ময়নাতদন্তের পর থেকে কোনিওর লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছে।