শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ঘরোয়ার কর্মচারী হত্যা

সাত দিনের রিমান্ডে জসিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাত দিনের রিমান্ডে জসিম

মতিঝিলে ঘরোয়া হোটেলের কর্মচারী রিয়াদকে গুলি করার পর হাসপাতালে নেওয়ার চিত্র। যা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ইনসেটে ঘরোয়া হোটেল মালিক সোহেল - বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর মতিঝিল ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের কর্মচারী রিয়াদকে গুলি করে হত্যা মামলায় ওই হোটেলের কর্মচারী জসিম উদ্দিনকে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়ারী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আলিম হোসেন সিকদার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোল্লা সাইফুল আলম সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, হোটেল মালিক সোহেলকে ধরতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। সোহেলের পরিচিত বিভিন্ন স্বজনের বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে সোহেলকে ধরতে একাধিক স্থানে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। পুলিশ জানায়, চুরির অভিযোগে ঘরোয়া হোটেলের মালিক সোহেল নিজেই তার কর্মচারী রিয়াদকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ছিনতাইকারীর গুলিতে রিয়াদ নিহত হয়েছে বলে ফিল্মি গল্প তৈরি করতে অন্য কর্মীদের শিখিয়ে দেন সোহেল। নিহত রিয়াদ ও তার সহকর্মীরা স্বামীবাগের ৭৩ নম্বর মিতালী স্কুল গলির একটি নির্মাণাধীন বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকত। সেখানেই রিয়াদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত রিয়াদের বড় ভাই রিপন বলেন, হোটেলের এক কর্মচারীর দেড় হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ অভিযোগে রিয়াদকে নির্যাতন করে হোটেল মালিক সোহেল। গত মঙ্গলবার বিকালে হোটেলের ভিতরে তাকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়। রাতে সোহেল নিজে রিয়াদকে তার গাড়িতে করে স্বামীবাগের ওই মেসে নিয়ে যায়। সেখানে রিয়াদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে রিয়াদের বড় ভাই রিপন ওয়ারী থানায় হত্যা মামলা করেন।

হোটেল মালিক সোহেলের শান্তিনগরে পারিবারিক বাসা এবং স্বামীবাগের নির্মাণাধীন ভবনটি ছাড়াও সোহেলের আলাদা একটি বাসা আছে, যেটির সন্ধান গত বৃহস্পতিবারের আগে পায়নি পুলিশ। এই তিন বাসায়ই এখন তালা ঝুলছে। এছাড়া শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মাইঝপাড়া গ্রামে সোহেলদের চারটি বাড়ি রয়েছে, যার সবকটি এখন তালাবদ্ধ। তিনদিন ধরে তালাবদ্ধ ঘরোয়া হোটেলও। পুলিশ বলছে, সোহেলের গোটা পরিবার এখন পলাতক। তাকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর