শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রশ্ন ফাঁসে পদস্থরা জড়িত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রশ্ন ফাঁসে পদস্থরা জড়িত

মেডিকেল ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস বিষয় নিয়ে গতকাল গণশুনানি হয়। এতে গণতদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ বলেন, শুরু থেকে কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। এতে ঘটনার সঙ্গে উচ্চপদস্থ কেউ জড়িত কিনা প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসায় তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়। সে কারণে নাগরিকদের মধ্য থেকে সত্যাসত্য যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গণশুনানিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তা, কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। তারা প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১০ মিনিট সময় চান। গণশুনানিতে অংশ নিতে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতর, র‌্যাব, বিএমএ, বিএমডিসি, ঢাকা ও সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এ সংস্থার প্রতিনিধিরা যেখানে বসতে চান সেখানে কমিটি বসতে রাজি আছে। শুনানিতে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কিনেছে এমন একজন শিক্ষার্থীর কথোপকথন শোনান একজন শিক্ষার্থী। একজন অভিভাবক বলেন, অধিদফতর প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দয়া করে আমাদের ১০ মিনিট সময় দিন। সব প্রমাণ দেব। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পেয়েছে এমন একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে একজন বলেন, ছাত্রটি ছয় লাখ টাকা দিয়ে প্রশ্ন কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। যারা প্রশ্ন পাইয়ে দিয়েছে তাদের কাছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ও প্রবেশপত্রের অনুলিপি জমা রাখতে হয়েছিল। ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তারা আট লাখ টাকা দাবি করছে। একজন অভিভাবক স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেন, ওই কর্মকর্তার মেয়ে রংপুর থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। পাস করতে পারেনি। ওই কর্মকর্তাকে কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন চিকিৎসক ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। বরিশাল  থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এমন এক ছাত্র টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পেয়েছে এমন দুজন শিক্ষার্থীর নাম জানায়।

সর্বশেষ খবর