শিরোনাম
বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফের কারাগারে মির্জা ফখরুল

খোকা গয়েশ্বরের নামে পরোয়ানা

আদালত প্রতিবেদক

ফের কারাগারে মির্জা ফখরুল

ফের কারাগারে মির্জা ফখরুল। রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশে হাকিম আদালতে আত্নসমর্পণ করে মির্জা ফখরুল জামিন চান। এ বিষয়ে ফখরুলের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, মির্জা ফখরুল অসুস্থ। আগামী ২৪ নভেম্বর তার সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা। এর আগেও তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন। উচ্চ আদালত? এই আদালতে মির্জা ফখরুলকে আত্নসমর্পণ করতে আদেশ দিয়েছিলেন। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় উচ্চ আদালতের আদেশ মোতাবেক আত্নসমর্পণ করেছেন। কিন্তু হাকিম আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে আমরা আদালতকে বলেছি, উচ্চ আদালত আত্নসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আসামিকে জামিন দেওয়া যাবে না সে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাই আপনি ফখরুলকে জামিন দিতে পারেন। জামিন আপনার বিবেচনামূলক এখতিয়ার। জানা গেছে, এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন ফখরুল। ১৪ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর চিকিৎসা করাতে বিদেশে যান।  বিদেশ থেকে ফেরার পর ফখরুলের আবেদনে তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আত্নসমর্পণের আগে তিনি তিন মামলায় আরও সময় চাইলে গত সোমবার সে আবেদন নাকচ করে দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফখরুলকে বিচারিক আদালতে আত্নসমর্পণ করতে বলা হয়। পরে মির্জা ফখরুল আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে শুনানিতে আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, মাননীয় আদালত এই মামলায় বর্ণিত গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করার জন্য। এ ছাড়া মামলার ঘটনা সাজানো ও বানোয়াট। আসলে এই মামলায় আসামি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও নেই। মামলার আসামিরা দেশের বিশিষ্ট ও সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলে পলাতক হবেন না। উপযুক্ত স্থানীয় জামিনদার দেওয়া হবে এবং আদালতের আদেশ মোতাবেক নিয়মিত হাজিরা প্রদান করবে।

বিএনপির ৩৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা : এদিকে রাজধানীর রামপুরা থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো কামরুল হোসেন মোল্লা এই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের গ্রেফতার করা গেল কিনা সে বিষয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করেন। এর আগে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর রামপুরা থানাধীন মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় বিএনপি-জামায়াতের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি পালনের সময় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ছাত্রদল সভাপতি রিমান্ডে : এদিকে রাজধানীর রামপুরা থানার গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসানকে এক দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম ইউসুফ হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শফিকুর রহমান আসামিকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।

মির্জা ফখরুলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি বিএনপির : দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোয় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন গতকাল সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ কারাবন্দী সব নেতার মুক্তি দাবি করেন। এ সময় দলের সহদফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ড. রিপন বলেন, সরকার মির্জা ফখরুলকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তাকে জামিন দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সরকার তা করেনি বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মুখপাত্র। তিনি বলেন, কারাগারে থাকা মির্জা ফখরুলের চিকিৎসার অভাবে অনাকাক্সিক্ষত কোনো ঘটনা ঘটলে তার সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

অনিন্দ্য ইসলামকে কারাগারে পাঠানোয় নিন্দা : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে কারাগারে পাঠানোয় নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে যশোর সদর পৌর মেয়র ও সদর থানা বিএনপি সভাপতি মারুফ ইসলামসহ ১০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেছে দলটি। গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

মির্জা ফখরুলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি বিএনপির : দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোয় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন গতকাল সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ কারাবন্দী সব নেতার মুক্তি দাবি করেন। এ সময় দলের সহদফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ড. রিপন বলেন, সরকার মির্জা ফখরুলকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তাকে জামিন দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সরকার তা করেনি বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মুখপাত্র। তিনি বলেন, কারাগারে থাকা মির্জা ফখরুলের চিকিৎসার অভাবে অনাকাক্সিক্ষত কোনো ঘটনা ঘটলে তার সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ড. রিপন বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেক দিন ধরে অসুস্থ। হƒদরোগসহ তার ঘাড়ে ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক রয়েছে। এ বছর প্রায় ছয় মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং সিঙ্গাপুরে কয়েক দফা চিকিৎসা নেন। কিন্তু তার ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লকটির অবস্থান খুবই জটিল হওয়ায় তা শৈল্য চিকিৎসার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় তার অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়নি। কয়েকদিন আগেও তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য ফলোআপে যান এবং এ মাসের ২৪ তারিখে সিঙ্গাপুরে তার আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়ার তারিখ ছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশে একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে তিনি আজ নিæ আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু আদালত তার আবেদন নাকচ করে এই অসুস্থ মানুষটিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ায় আমরা তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বিচলিত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কারারুদ্ধ সব নেতার মুক্তি দাবি করেন আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, সরকার ছায়ার সঙ্গে শত্র“ শত্র“ খেলায় লিপ্ত। বিরোধী দল, বিরোধী দলের নেতাদের অকারণেই তারা শত্র“ ভাবছেন। অথচ বিরোধী দল ও বিরোধী দলের নেতারা হলেন গণতন্ত্রের অনুষঙ্গ।

অনিন্দ্য ইসলামকে কারাগারে পাঠানোয় নিন্দা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে কারাগারে পাঠানোয় নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে যশোর সদর পৌর মেয়র ও সদর থানা বিএনপি সভাপতি মারুফ ইসলামসহ ১০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেছে দলটি। গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ খবর