রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সহিংসতার সমাধান রাতারাতি হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

সহিংসতার সমাধান রাতারাতি হবে না

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, ‘নির্বাচনী সহিংসতা-সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান রাতারাতি হবে না। কিন্তু শান্তির দূত হিসেবে সহিংসতাবিহীন ভবিষ্যৎ নির্বাচনের স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে সমাজে আপনারা ইতিবাচক উদাহরণ হয়ে থাকবেন। সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপায় খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএইডের মাধ্যমে আপনাদের পাশে  রয়েছে।’ বাংলাদেশের চলমান সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে একটি সুস্থ, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে কর্মরত ‘পিস অ্যাম্বাসেডর’দের দিনব্যাপী ন্যাশনাল কনভেনশনে গতকাল তিনি এ আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এ কনভেনশনে ২৮টি উপজেলা থেকে আসা ৮৩ জন পিস অ্যাম্বাসেডর অংশ নেন। কনভেনশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের। সভাপতিত্ব করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বদিউল আলম মজুমদার। ‘নির্বাচনী সহিংসতার বিরুদ্ধে মানুষ’ শীর্ষক এই কনভেনশনে অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ এলাকার বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সমস্যা এবং এ থেকে উত্তরণে তাদের গৃহীত কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যে মানুষ একমত হচ্ছেন না, তার সঙ্গে কথা বলতে, মিশতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একুশ শতকে এ যোগ্যতাটা হারিয়ে যাচ্ছে। আস্থা ও সম্মান অর্জন করতে ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা প্রয়োজন। জি এম কাদের বলেন, যেভাবেই গণতন্ত্র চর্চা হোক না কেন, গণতন্ত্রের মূলনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রের চর্চার মাধ্যমেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়। আর গণতন্ত্রে নির্বাচন আবশ্যক। কারণ এর মাধ্যমেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়। অশান্তি দূর করতে গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে এবং নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছি। দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু আজ আমরা বিভক্ত হয়ে গিয়েছি। আজ আমরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করছি। যারা এ সহিংসতায় লিপ্ত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইউএসএইড, ইউকেএইড ও আইএফইএফের সহযোগিতায় ‘পিপল অ্যাগেইনস্ট ভায়োলেন্স ইন ইলেকশনস’ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ কনভেনশন আয়োজিত হয়। এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা নিরসনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবর্গ ও জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে এ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয়ভাবে সম্প্রীতি সম্মেলন, গোলটেবিল বৈঠক ও অহিংস দিবস পালিত হয়।

সর্বশেষ খবর