বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কখনো ভাবিনি আত্মরক্ষার পথ খুঁজতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

কখনো ভাবিনি আত্মরক্ষার পথ খুঁজতে হবে

ড. আনিসুজ্জামান

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেছেন, আমরা কখনো ভাবতে পারিনি যে, স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে হবে। মুক্তমনাদের আত্মরক্ষার্থে পথ খুঁজতে হবে। কখনো ভাবিনি মুক্তিযুদ্ধের  বিপক্ষের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। গতকাল ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। সারা দেশে চলমান সহিংস হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ‘সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন’ ও ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ যৌথভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আবেদ খান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সরোয়ার আলী, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রমুখ। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক বাধা দেখা যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আর এ জন্য প্রয়োজন সাধারণ মানুষের সচেতনতা ও সক্রিয় ভূমিকা। তাহলেই এসব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করা সম্ভব হবে। সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি আজ অটুট ও ঐক্যবদ্ধ আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে, সরকার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে আছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আস্থার জায়গা তৈরি করে নিতে হবে। দেশে মুক্তবুদ্ধির ওপর বার বার আঘাত আসছে। বার বার আঘাত এলেও এই অপশক্তির গ্রেফতারে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেই। ফ্রান্সে জঙ্গি হামলার পর আমরা দেখলাম সে দেশের সরকার দ্রুতই সন্দেহভাজন হিসেবে কয়েকজনকে ধরে ফেলল অথচ বাংলাদেশে মুক্তমনাদের হত্যায় জড়িতদের কাউকেই সরকার গ্রেফতার করতে পারেনি।

অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, মৌলবাদীরা ইসলামের নাম ব্যবহার করে মুক্তমনাদের একের পর এক আঘাত করছে। এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ মানুষ যে নিষ্ক্রিয় তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। অভিজিৎকে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে হত্যা করাটা সে কথাই প্রমাণ করে।

সর্বশেষ খবর