মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মুক্তির অপেক্ষায় ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তির অপেক্ষায় ফখরুল

মুক্তির অপেক্ষায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে সব আইনগত বাধা দূর হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ বিকালের মধ্যেই তিনি মুক্তি পেতে পারেন। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগার-২ এ অন্তরীণ। নাশকতার তিন মামলায় তাকে হাইকোর্টের দেওয়া তিন মাসের জামিনের আদেশ গতকাল বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ক্ষমতাসীন সরকারের দুই মেয়াদে ৭ম বারের মতো কারাগারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার বিরুদ্ধে ৭৯টি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে।  জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ দেন। এর ফলে ফখরুলের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। মির্জা ফখরুলের খোঁজখবরের দায়িত্বে থাকা যুবদলের সহসভাপতি ফরহাদ হোসেন আজাদ গতকাল বলেন, প্রধান বিচারপতি জামিনে সই করেছেন। জামিননামা নিয়ে কাল (আজ) সিএমএম কোর্টে যাওয়া হবে। এরপর জামিননামার কাগজপত্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে। সেখান থেকে নেওয়া হবে কাশিমপুর কারাগারে। সবকিছু ঠিক থাকলে আশা করছি দুপুরের পরপরই তিনি (মির্জা ফখরুল) মুক্তিলাভ করবেন। -নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ২৪ নভেম্বর রাজধানীর পল্টন থানার তিন মামলায় মির্জা ফখরুলের স্থায়ী জামিন প্রশ্নে রুলের নিষ্পত্তি করে তিন মাসের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ২৬ নভেম্বর চেম্বার আদালত বিষয়টির শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। এর আগে এ তিন মামলায় রুল নিষ্পত্তির জন্য ২ নভেম্বর দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেন আপিল বিভাগ। ৩ নভেম্বর বিচারিক আদালতে আত্নসমর্পণ করেন ফখরুল। পরে আদালত জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হরতাল-অবরোধ চলাকালে নাশকতার অভিযোগে এসব মামলা করে পুলিশ। ৩ নভেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্নসমর্পণ করার পর জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান হাকিম আদালত। নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে জানুয়ারিতে গ্রেফতার হওয়ার পর ছয় মাস কারাগারে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। স্বাস্থ্যগত কারণে আপিল বিভাগ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিলে গত জুলাই মাসে মুক্তি পান তিনি। এরপর চিকিৎসা করতে প্রথমে সিঙ্গাপুর এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর ফখরুলের আবেদনে তার জামিনের মেয়াদ দুই দফায় বাড়ানো হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর