সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বি চৌধুরীকে পদত্যাগে বাধ্য করা কেউই পছন্দ করেনি

বি চৌধুরীকে পদত্যাগে বাধ্য করা কেউই পছন্দ করেনি

বাংলাদেশের (১৯৯১-২০০৬) রাজনীতির ওপর ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র’ নামে একটি বই লিখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ‘বাংলাদেশ : এ স্ট্যাডি অব দ্যা ডেমোক্রেটিক রেজিম’ শিরোনামে ইংরেজিতে লেখা তার এ বইয়ের প্রথম প্রকাশ ২০১২ সালে। সরকার ও বিরোধী দলে থাকাবস্থায় একজন সমালোচনামূলক রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে বইটি লেখেন তিনি। বইয়ের চুম্বকাংশের ধারাবাহিক প্রতিবেদন তৈরি করেছেন মাহমুদ আজহার। আজ ২য় পর্ব। 

 

‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র’ বইয়ের ৩৮৫ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় প্যারায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন লাইফবয় সাবান কিংবা শপিং কমপ্লেক্সের মতো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বা উদ্বোধনের মতো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে থাকেন এবং সেসব খবর প্রচারমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হতে থাকে, তখন তারা সবাই একে রাষ্ট্রপতির কার্যধারার মধ্যে ব্যতিক্রম হিসেবে মনে করতে থাকেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একই দিনে দুটি পৃথক স্থানে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে মিডিয়া কাভারেজে প্রধানমন্ত্রীর চাইতে প্রটোকল অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মনে করা হতে থাকে যে, প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা গ্রহণের তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে হাওয়া ভবনের উদীয়মান তরুণ গ্রুপ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরীবিরোধী একটি প্রচারণা শুরু হয়। এই অনুমিত বিচ্যুতির বিষয়টিকে সমাধানের জন্য কোনো পক্ষ থেকেই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ ধরনের মধ্যস্থতাকারী উদ্যোক্তার অনুপস্থিতিতে পরিস্থিতি দিন দিন বরং আরও খারাপের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। অবস্থা চরমে উঠে যখন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে প্রবল ঘনিষ্ঠ আওয়ামী বিদ্বেষী প্রফেসর আফতাব আহমেদকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য পদে মনোনয়নের প্রস্তাব অনুমোদনের সম্মতি দিতে সরাসরিভাবে অস্বীকার করে বসেন।’ তৃতীয় প্যারায় তিনি লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত দিবসটি বিএনপি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে। ২০০২ সালের ২৯ মে, ২১তম শাহাদাত দিবসের একদিন আগে রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী একটি বিবৃতি দেন। যাতে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থানের এটি ছিল একটি মূল বিষয় এবং দলের মূল প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সব সময় এর প্রবল বিরোধিতা করে আসছিল। পরের দিন অর্থাত্ ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী যখন ইউএন কংগ্রেস অন চিলড্রেন-এর সম্মেলনে এক সরকারি সফরে নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন, তখন রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করতেও যাননি। যদিও ছয় মাস আগে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পরেও তিনি সেখানে ছুটে যেতে দ্বিধা করেননি।’ বইতে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘এতে সকলেই এই ভেবে আশ্চর্যান্বিত হন যে, দলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শহীদ জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো দলের একটি ঐতিহ্য এবং এই দলের মনোনয়নেই তিনি রাষ্ট্রপতি পদমর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছেন। এতে দেশব্যাপী দলীয় সদস্যদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি করে। যারা ইতিমধ্যে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অপসারণের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন, এই ঘটনা তাদের রোষের অগ্নিতে ঘৃতাহুতি প্রদান করে। বদরুদ্দোজা চৌধুরী এই বলে তার পদক্ষেপের যথার্থতা প্রদানের চেষ্টা করেন যে, রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার নিরপেক্ষ থাকা উচিত। দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে তার অংশ নেওয়া ঠিক হবে না। অবশ্য বিএনপির পক্ষ থেকে কোনোক্রমেই তার এই যুক্তিকে গ্রহণ করা হয়নি। দলীয় নেতা-কর্মীদের সব রকমের প্রতিক্রিয়া তার বিরুদ্ধেই প্রবাহিত হতে থাকে।’ ৩৮৬ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় প্যারায় আছে, ‘রাষ্ট্রপতির ওপর ইতিমধ্যেই অসন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অপসারণ করার এই সুযোগটিকে কাজে লাগানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য ঊর্ধ্বে চলে আসে। তখন পর্যন্ত তিনি বিষয়টি খোলাখুলিভাবে প্রকাশ না করলেও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সংসদ সদস্যরা সংসদে প্রকাশ্যে তাদের অনুভূতি জোরেশোরে তুলে ধরেন। ইতিমধ্যে বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। খালেদা জিয়াও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে ফেলতে পারতেন। কিন্তু গোটা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবলোকন করলেন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এটা স্পষ্ট যে, বদরুদ্দোজা চৌধুরী কর্তৃক রাষ্ট্রপতি জিয়াকে এভাবে অবমূল্যায়ন করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মেনে নেওয়া তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা সহজ কাজ ছিল না। রাজনৈতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্যতার দৃষ্টিকোণ থেকেও রাষ্ট্রপতিকে তার কার্যালয়ে আর বসতে দেওয়া সমীচীন হবে কিনা এটিও তার বিবেচনায় চলে আসে। ফলে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অপসারণ করাই শ্রেয় বলে সিদ্ধান্ত নিলেন।’

৩৮৮ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় প্যারায় ব্যারিস্টার মওদুদ লিখেছেন, ‘জাতি যেসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে, এটা ছিল তার মধ্যে একটি অন্যতম নজিরবিহীন ও অশোভনীয় ঘটনা। নিজের দলের লোকদের হুমকির মুখে নির্বাচিত একজন রাষ্ট্রপতির এহেন নিষ্ক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ইতিহাসে বিরল। গোটা ঘটনা সরকারের এবং সামগ্রিকভাবে শাসন প্রক্রিয়ার অনেক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। নিজ সরকার এবং দলের অভ্যন্তরীণ সংকটের জের হিসেবে এটি ঘটেছে এবং বিরোধী দলের এতে কোনো ভূমিকাই ছিল না। গোটা জাতি ঘটনাক্রমে স্তম্ভিত ও আহত হয়েছে। বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে যেভাবে হেয় করা হয়েছে এবং পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে তা কেউই পছন্দ করেনি।’ ব্যারিস্টার মওদুদের ভাষায়, ‘যেহেতু যখনই খালেদা জিয়া ভাবলেন যে, তার স্বামীকে অবমাননা করা হয়েছে এবং বেগম জিয়ার ধারণা জন্মেছিল যে, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর আচরণ ছিল অনানুগত্য ও বিশ্বাসঘাতকতার শামিল তখন দলের সকলেই বুঝতে পেরেছিলাম যে, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নিষ্ক্রান্ত হওয়া ছিল অবধারিত। ব্যক্তিত্বের সংঘাত এড়াতে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অপসারণ করে আরও অনুগত, নমনীয় ও বিশ্বাসী কাউকে সেখানে বসানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।’

বইটির ৪১৯ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় প্যারায় ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে জোর করে বের করে দেওয়ার পর তিনি সরকারবিরোধী হিসেবে রাজনীতিতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলে বিএনপি সরকার তা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়নি। গণতন্ত্রের বাহক দলীয় নেতারা তাকে রাশ টেনে ধরার প্রয়াস পান। ২০০৪ সালের ১৩ মার্চে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্প ধারা নামে মুক্তাঙ্গনে একটি নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ঘোষণার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠান হবার আগের দিন রাতেই বিএনপির ক্যাডাররা তার নির্মিত মঞ্চ ভেঙে দেয়। পরদিন সকালে ‘বাস্তুহারা কল্যাণ পরিষদ’ নামে পরিচয়বিহীন নামসর্বস্ব বাস্তুহারাদের একটি ভুয়া সংগঠনের গুণ্ডারা সেই জায়গা দখল করে রাখে। বিএনপি ক্যাডাররা তাদেরকে শক্তি ও সাহস জোগায়। পরিস্থিতি দমনে পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।’ বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, ‘একই দিন সকালে নবগঠিত দলের আরেকজন নেতা মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের অফিস স্থানীয় বিএনপির ক্যাডাররা লণ্ডভণ্ড করে দেয়। বদরুদ্দোজা চৌধুরী তার অনুগতদের সঙ্গে নিয়ে তার বারিধারার বাসা থেকে বের হয়ে আসার পর পুলিশ নানা ধরনের ছুঁতো ধরে একাধিক স্থানে তার গাড়ি গতিরোধ করে। প্রতিটি স্থানে এ কাজে বিএনপির ক্যাডাররা পুলিশকে সঙ্গ দেয়। বিশ্বরোড রেলক্রসিংয়ে গাড়িবহর পৌঁছার পর বাসের লগি দিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেট সৃষ্টি করা হলে তিনি গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। এয়ারপোর্টের দিকে হেঁটে সমবেত লোকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি মহাখালীর রেলক্রসিংয়ে পৌঁছতে পৌঁছতে বিকাল সাড়ে ৫টা বেজে যায়। এ সময় বিএনপির ক্যাডাররা তাদের তাড়া করলে সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা তার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রেললাইনের ওপর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। এ সময় পুলিশ সম্পূর্ণ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। মেজর মান্নানের মাথায় ইটের আঘাত এসে লাগে। তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। প্রায় ৪০ জন সঙ্গী নিয়ে অদূরে রেললাইনের ওপর অসহায়ভাবে বসে থাকা বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অবশেষে পুলিশ উদ্ধার করে তার বাসায় পৌঁছে দেয়।’ বইতে ব্যারিস্টার মওদুদ লেখেন, ‘এভাবে পথিমধ্যে আক্রান্ত, অপদস্থ ও নাজেহাল অবস্থায় বদরুদ্দোজা চৌধুরী জনসমাবেশে না গিয়ে এবং জনতার উদ্দেশে বক্তব্য না রেখেই মেজর আবদুল মান্নানকে মহাসচিব করে সংগঠনের ১২ সদস্যবিশিষ্ট এক কার্যনির্বাহী কমিটি তার বাসায় অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করেন। সরকারকে ফ্যাসিস্ট আখ্যায়িত করে তিনি বলেন যে, পুলিশের সাহায্য নিয়ে সরকার সমর্থিত কর্মীরা ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টের দিকে তাকিয়ে বাধা দিয়ে সমাবেশে গিয়ে জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখা থেকে নিবৃত করেছে এবং জনসভাস্থলে যেতে দেয়নি।’

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠন সরকারের এ ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে। সরকার ও তার সমর্থকদের এই দানবীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে বদরুদ্দোজা চৌধুরী যতবার ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সমাবেশের আয়োজন করেন, ততবারই তাকে একইরকম বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়। এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের পেছনে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর কোনো সম্মতি ছিল কিনা তা জানা যায় না। তবে এসব ঘটনার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো নিন্দা জানানো হয়নি কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনার প্রতিকারের জন্য কোনো ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়নি। রাজধানীর সম্মানজনক তেজগাঁও-রমনা এলাকা থেকে বিএনপির টিকিটে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ছিলেন ১৯৯১-১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের প্রতিমন্ত্রী। তিনিই ২০০৪ সালের ১০ মার্চ দল থেকে পদত্যাগ করে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে যোগ দিলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে তার অফিস তছনছ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন করা হয়। রাজশাহীতে ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থানের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বক্তব্য দিলে বিএনপির আরেক সংসদ সদস্য আবু হেনার সঙ্গে একই ধরনের আচরণ করা হয়। সেই ইসলামী জঙ্গিরা স্থানীয় একজন মন্ত্রীর আস্থাভাজন ছিলেন। মন্ত্রীর গুণ্ডারা আবু হেনাকে হুমকি দিয়ে আতঙ্কিত করে তোলেন এবং ছয় মাস তিনি প্রবল নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে সময় কাটান। বিএনপির আরেকজন সংসদ সদস্য ও স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য কর্নেল (অব.) অলি আহমদ দল ছেড়ে নতুন দল গঠনের ঘোষণা দিলে দলের কয়েকজন নেতা তার সঙ্গে শরিক হওয়ার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তাদের প্রত্যেকের বাড়িঘরে বিএনপির ক্যাডাররা হামলা চালায়। এসব ঘটনাক্রমে উভয় বড় রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রহীনতার প্রতিচ্ছবিই প্রতিফলিত হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর