সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বাংলাদেশে আইএস নেই : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অস্তিত্ব আবারও নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ বলে তদন্তে দেখা গেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ব্লগার ও বিদেশি নাগরিক হত্যাকারীদের গ্রেফতারে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এ পর্যন্ত তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে অভ্যন্তরীণ কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে। উচ্চ পর্যায়ের একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল গতকাল বিকালে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিকবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি টমাস শ্যাননের নেতৃত্বে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেসাই বিশওয়াল, দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনপ্রিত সিং আনন্দ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটও ছিলেন।  সাক্ষাত্ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে সব ধরনের সন্ত্রাস ও চরমপন্থার নিন্দা করে। ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে খুবই মূল্য দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, নিয়মিত বার্ষিক সংলাপ ও পরামর্শের শক্তিশালী ফ্রেমওয়ার্কের ওপর এ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রতি বছর জিডিপির ১ শতাংশ ব্যয় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন কার্বন ও জলবায়ু সহনীয় উন্নয়নের পথ অনুসরণেও অঙ্গীকারাবদ্ধ।

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের সাফল্যের বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্রতার হার গত ৬ বছরে ৪১ শতাংশ থেকে ২২ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। টমাস শ্যানন এ সময় সন্ত্রাস দমনে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এটি (সন্ত্রাসবাদ) এখন ‘একটি বৈশ্বিক সমস্যা’।

 তিনি অ্যাভিয়েশন নিরাপত্তা খাতে সম্পর্ক আরও জোরদারে প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এটি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যর্পণের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী উত্থাপন করলে শ্যানন বলেন, দেশে ফিরে গিয়ে তিনি এ ব্যাপারে তার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর