বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শেখ হাসিনা আমার রোল মডেল

বিশেষ প্রতিনিধি

শেখ হাসিনা আমার রোল মডেল

বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার রোল মডেল। রাজনীতি মানুষকে সাহায্য করার জন্য, সেটি যে দেশেই হোক। ইংল্যান্ডে বসেও আমি বাংলাদেশিদের সাহায্য করছি। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় স্কলাস্টিকা স্কুলে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন টিউলিপ। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী হিসেবে বর্তমান ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা দিতেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্কলাস্টিকা। টিউলিপ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এক প্রশ্নের উত্তরে টিউলিপ জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের গল্প শুনে বড় হয়েছি। আমি যে বাসায় বড় হয়েছি সেখানে সারাজীবন নানার (বঙ্গবন্ধু) এবং মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছি। নানাকে দেখিনি, শুনেছি—  দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি কী করেছেন। মা ও খালা সবসময় খাওয়ার টেবিলে— দেশের জন্য কী কী করা যায়  সেসব নিয়ে যখন কথা বলতেন গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনতাম। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমপি টিউলিপ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেই হোক, পুরুষ বা নারী, দেখতে হবে তিনি দেশকে,  গরিবদের ভালোবাসেন কি না, সেটাই জরুরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারী প্রধানমন্ত্রী। এটা নিয়ে আমরা গর্বিত। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ৬৫০ জন এমপির মধ্যে মাত্র ১৬০ জন নারী। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে নারীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। দরিদ্রদের জীবন উন্নত করতে একযোগে কাজ করতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে ব্রিটেনেও এই সমস্যা ছিল। আমরা যদি মেয়েদের পড়ালেখা না শেখাই, রোল মডেল না দেখাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠাই, তাহলে অবস্থার উন্নতি হবে না। আমাদের নারীরা সবাই কাজ করে। গ্রামেও তাই। তিনি বলেন, খালা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মা শেখ রেহানা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং এভারেস্টজয়ী ওয়াসফিয়া নাজরীন আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। আগামীতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ভবিষ্যতে কী হবে বলা যায় না। পাঁচ বছর পরে জিজ্ঞেস করলে এ ব্যাপারে বলতে পারব। তবে যে কোনো জায়গায় থেকে মানুষকে সাহায্য করা যায়। ইংল্যান্ডে বসেও আমি বাংলাদেশিদের সাহায্য করছি। ব্রিটিশ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, নির্বাচন অনেক কষ্টকর। ক্যাম্পেইনে দুই বছর কাজ করেছি, দরজায় দরজায় গিয়েছি। লেবার পার্টি কিন্তু জেতেনি, খারাপ করেছে, আমরা কেঁদেছি। আমি যে আসনে জিতেছি, সেটা আগেরবারও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, ব্রিটিশ বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্বিত। ওখানে যারা বাংলাদেশি তারা চেয়েছেন, একজন অন্তত বাংলাদেশি এমপি হোক। ব্রিটেনে মুসলমানরা যেন সমস্যায় না পড়ে, তা নিয়ে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর