শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

অস্ত্র চোরাচালানে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

মির্জা মেহেদী তমাল

অস্ত্র চোরাচালানে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

প্রায় এক যুগ আগে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার ঘাটে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনা ছিল অনেকটা আকস্মিক। পুলিশের দুই সার্জেন্টের সঙ্গে ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে বিপদে পড়ে অস্ত্র পাচারকারীরা। ফাঁস হয় দেশের সর্ববৃহত্ অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা। আটক হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। তবে এই অস্ত্র আটকের পর ঘটে নজিরবিহীন সব ঘটনা। অস্ত্র আটক করার দায়ে দুই সার্জেন্টের জীবন হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়। ক্রসফায়ার থেকে প্রাণে রক্ষা পাওয়া এই দুই সার্জেন্ট চাকরি হারান। কখনো কারাগারে কাটাতে হয় তাদের। আবার কখনো ফেরার হয়ে পালিয়ে বেরিয়েছেন। এই অস্ত্র চোরাচালান মামলা ধামচাপা দিতেও নানা কল্পকাহিনীর সৃষ্টি করা হয়। কয়েক দফায় পুনর্তদন্ত আর কর্মকর্তা পরিবর্তনের রেকর্ড সৃষ্টি হয় মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায়। এক সময় বেরিয়ে আসে চোরাচালান চক্রের মূল হোতাদের নাম। মূল হোতা হিসেবে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম একে একে বেরিয়ে আসায় দেশবাসী হতবাক। সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফার অস্ত্র চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ায় দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অবশেষে তদন্ত শেষে বিচার হয়। চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় জোট সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। অস্ত্র চোরাচালানের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর ফাঁসির আদেশ এটাই ছিল প্রথম। ট্রলার থেকে অস্ত্র খালাসের সময় ঘটনাস্থলে প্রথম উপস্থিত সেই সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও সার্জেন্ট হেলালউদ্দীন ভূঁইয়া চাকরিও ফেরত পান। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের এ ঘটনাটি দেশের চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী মামলারগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে অস্ত্র আটক করা দুই সার্জেন্টের সাহসিকতার ঘটনাটি নতুন সার্জেন্টদের পাঠ্যসূচিতে রাখা হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এই চোরাচালান মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা, দুই সার্জেন্টের কাছ থেকে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর সেই অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনার আদ্যপান্ত। 

সেদিন যা ঘটেছিল : চট্টগ্রামে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) জেটিঘাট। দিনভর ব্যস্ত এই ঘাট সন্ধ্যাতেই পিন পতন নিস্তব্ধতা। ২০০৪ সালের পয়লা এপ্রিলের মধ্যরাতটি ছিল স্বাভাবিক এমন রাতের চেয়ে একটু ভিন্ন। সেই রাতে পুরো জেটি নীরব নিস্তব্ধ থাকলেও একটি অংশে ছিল শ্রমিকদের কোলাহল। জেটির ভেতর সারিবদ্ধ ১০টি খালি ট্রাক। দুটি ট্রলার নোঙর করা ঘাটে। বড়টি ঘাটের পাশে এবং অন্যটি সেটার গায়ে লাগানো। বড় টঞ্চলার থেকে ছোট বড় কাঠের বাক্স ক্রেনের সাহায্যে ঘাটে রাখা ট্রাকে তোলা হচ্ছে। ঠিক এমন সময় জেটি ঘাটে হাজির পুলিশের দুই সার্জেন্ট। সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও হেলালউদ্দীন ভূঁইয়া। তারা ট্রলারের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। মাল খালাস বন্ধ রাখতে বলেন। কাঠের বাক্সে কী আছে— এমন প্রশ্ন করে কোনো জবাব পান না তারা। এক পর্যায়ে দুই ব্যক্তি সার্জেন্টদের কাছে এসে একজন হাফিজ এবং অপরজন আবুল হোসেন বলে পরিচয় দেন। হাফিজ কোনো রাখঢাক ছাড়াই সোজাসাপ্টা বলেন, ট্রলার ভর্তি অস্ত্র আছে। এই অস্ত্র উলফার। আবুল হোসেনকে দেখিয়ে বলেন, তিনি উলফার একজন শীর্ষ নেতা। অস্ত্র আসার খবর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সবার জানা আছে, এগুলো নামাতে বাধা দিলে আপনাদের ক্ষতি হবে। কিন্তু পুলিশের দুই সার্জেন্ট পিছু হঠার পাত্র নন। তারা জীবন দেবেন, কিন্তু মাল খালাস হতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। ক্ষুব্ধ হাফিজ তার মুঠোফোনটি একজন সার্জেন্টকে দিয়ে বলেন, তোর বাপের সঙ্গে কথা বল, বড় অফিসার লাইনে আছে। সার্জেন্টের পাল্টা জবাব, আমি এবার তোমার বাপকে খবর দিচ্ছি। দেখি তোমাকে কে বাঁচায়? পুলিশ সার্জেন্ট ও অস্ত্রের মালিক বলে দাবি করা দুই ব্যক্তির বাদানুবাদে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। দুই সার্জেন্টের মেসেজ পেয়ে পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) ঘটনাস্থলে হাজির হতে থাকে। শ্রমিকরা মাল ফেলে পালাতে থাকে। ফাঁস হয়ে যায় দেশের সর্ববৃহত্ অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনাটি। যা ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলা নামেই পরবর্তীতে পরিচিতি পায়। তবে সিএমপির তত্কালীন দুই পুলিশ কর্মকর্তা উপরের মহলের চাপে ঘটনাস্থলে গিয়ে উলফা নেতাসহ দুজনকে ছেড়ে দেন। পরদিন এ ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইন এবং চোরাচালান আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন কর্ণফুলী থানার ওসি আহাদুর রহমান।

আটক অস্ত্রের সংখ্যা : এসএমজি, রকেট লঞ্চার, টমিগান, রাইফেলসহ আটক অস্ত্রের সংখ্যা এক হাজার ৯৪০। ম্যাগাজিন ৬ হাজার ৩৯২টি। গুলি ও গ্রেনেড ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৫১৬। জাহাজ বোঝাই করে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ এসেছে বাংলাদেশে। পরিবহনে ট্রাক লাগে ১০টি।

অস্ত্রের গন্তব্য : বিপুলসংখ্যক এসব অস্ত্র বাংলাদেশ হয়ে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে। পুলিশ জানায়, বাংলাদেশকে অস্ত্র পরিবহনের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করেন তত্কালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দুই সার্জেন্টের পরিণতি : ২০০৫ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার বাংলামোটরে ডিউটিতে ছিলেন সার্জেন্ট হেলালউদ্দীন ভূঁইয়া। আর মহাখালীতে সার্জেন্ট আলাউদ্দিন। দুজনের ওয়াকিটকিতেই মেসেজ আসে। হেলালকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশের দফতরে (ডিবি অফিস) এবং আলাউদ্দিনকে হাজির হতে বলা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (উত্তর) ট্রাফিক কার্যালয়ে। দুজনই মেসেজ অনুযায়ী গন্তব্যে পৌঁছেন। আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ দুজনকেই অভিযানের কথা বলে ভিন্ন ভিন্ন গাড়িতে তুলে নেয়। তাদের প্রথমে উত্তরা র্যাব অফিস এবং পরদিন চট্টগ্রাম র্যাব-৭ কার্যালয়ে নেওয়া হয়। র্যাব কার্যালয়ে হেলালকে দেখামাত্র এক কর্মকর্তা হুঙ্কার দিয়ে ওঠেন। অন্য কর্মকর্তাকে উদ্দেশে বলেন, ওকে এখানে এনেছ কেন? ওকে তো ক্রসফায়ারে দেওয়ার কথা! এ কথা বলেই হেলালকে রড দিয়ে পিটিয়ে একটি পা ভেঙে দেন ওই কর্মকর্তা। পেটাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, তোর কারণে দেশে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অপর সার্জেন্ট আলাউদ্দিনের শরীরের ওপর চলে আরও ভয়ঙ্কর নির্যাতন। পুলিশের এই দুই সার্জেন্ট হেলালউদ্দীন আর আলাউদ্দিনের সাহসিকতা ও দায়িত্বশীলতার কারণেই উদ্ধার হয়েছিল ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। অনেকেই ভেবেছিলেন পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাহস ও সততার জন্য পুরস্কৃত হবেন তারা। কিন্তু পুরস্কৃত হননি, উল্টো খড়গ নেমে আসে সাহসী দুই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর। চাকরি হারান তারা। তাদের ওপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। মিথ্যা অস্ত্র মামলার আসামি হয়ে কারাগারের কাটিয়েছেন দীর্ঘ ২৭ মাস। এর আগে এক বছর পালিয়ে বেড়িয়েছেন ফেরার হয়ে। মামলা চালাতে গিয়ে ভিটেবাড়ি বিক্রি করতে হয়েছে। সমাজে হয়েছেন ধিকৃত। মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের কাটাতে হয়েছে অমানবিক জীবন। এ দুই সার্জেন্ট ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের নায়ক হলেও তাদের জীবন হয়েছে তছনছ। অবশ্য পরবর্তীতে হেলাল আর আলাউদ্দিনের এই সাহসিকতার ঘটনাটি স্থান পেয়েছে নতুন সার্জেন্টদের পাঠ্যসূচিতে। দীর্ঘ ৬ বছর পর আদালতের নির্দেশে চাকরি ফেরত পেয়েছেন সেই দুই সার্জেন্ট হেলাল এবং আলাউদ্দিন। আলাউদ্দিন নিয়মিত পদোন্নতি পেয়ে পরিদর্শক হন।

যেভাবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী আসামি : ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যে ১১ জনকে নতুন করে আসামি করা হয়েছে তাদের সবার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের আদালতের মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের ব্যবস্থা করেছিলেন। আর এভাবেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে একে একে নাম আসে সাবেক দুই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও শীর্ষস্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের। অধিকতর তদন্ত চলাকালে তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় পাওয়া তথ্যে জানা যায়, জামায়াতে ইসলামীর আমির সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিনের নাম আসে মূলত তত্কালীন শিল্পসচিব ড. শোয়েব আহম্মদের জবানবন্দির ভিত্তিতে। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ড. শোয়েব উল্লেখ করেন, নিজামীর নির্দেশেই ঘটনার রাতে নুরুল আমিন চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজারের (সিইউএফএল) রেস্টহাউসে অবস্থান করছিলেন। আর ঘটনার পরে নিজামীকে পুরো বিষয় অবহিত করে প্রতিকার চাইলে তিনি বলেছিলেন, দেশের হাইয়েস্ট অথরিটি পুরো বিষয় জানে। এতে নতুন করে কিছু করতে হবে না। আর তত্কালীন স্বরাষ্ট্রসচিব ওমর ফারুক আদালতে দাবি করেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের চাপে পড়ে তিনি এ ঘটনার দায়সারা গোছের ও ত্রুটিপূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও উপ-পরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকতের নাম এসেছে মূলত গ্রেফতারকৃত উইং কমান্ডার শাহাবুদ্দিনের জবানবন্দি থেকে। ২০০৯ সালের মে মাসে শাহাবুদ্দিনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শাহাবুদ্দিন জানান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম প্রথম থেকেই এই অস্ত্রের চালান বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আর অস্ত্রের চালান দেশে আসার আগে মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। রেজ্জাকুল হায়দার ও আবদুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয় ২০০৯ সালের মে মাসে শাহাবুদ্দিন আটক হওয়ার পর। এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক মেজর লিয়াকতের নাম এসেছে অপর আসামি ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খানের জবানবন্দি থেকে। ঘটনার রাতে সিইউএফএল ঘাটে যাওয়া সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন ও সার্জেন্ট আলাউদ্দিন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে টিআই প্যারেডের মাধ্যমে মেজর লিয়াকতকে শনাক্ত করেছিলেন। আর আকবর হোসেনকে গ্রেফতারে ভূমিকা রেখেছিলেন গ্রিনওয়েজ ট্রান্সপোর্টের কর্মকর্তারা। এনএসআইয়ের ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান তাদের কাছ থেকে অস্ত্র পরিবহনের জন্য ট্রাক ও ক্রেন ভাড়া করেছিলেন।

বিচার : ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া অস্ত্র আটক মামলার দুটি ধারায় এই ১৪ জনকে যাবজ্জীবন ও সাত বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া, সাবেক শিল্পসচিব নুরুল আমিন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রহীম, পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) শাহাবুদ্দিন আহাম্মদ, উপ-পরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, হাফিজুর রহমান, দীন মোহাম্মদ ও হাজী আবদুস সোবহান। এদের মধ্যে পরেশ বড়ুয়া ও সাবেক শিল্পসচিব নুরুল আমিন পলাতক। হাজী আবদুস সোবহান জামিনে।

সর্বশেষ খবর