শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ

জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশের

সাইফুল ইসলাম, যশোর

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্ব থেকেই ফিরেছিল বাংলাদেশ। শুধু ফেরা নয়, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছিল। যদিও দেশে ফিরেছিলেন মামুনুলরা ভুটানকে হারানোর স্বাদ নিয়ে। তারপরও প্রথম পর্ব থেকে বিদায়ে সমালোচনার তীর্যকবাণে বিদ্ধ হয়েছেন মামুনুলরা। সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন মামুনুল। কোচের পদ থেকেও সরে দাঁড়ান মারুফুল হক। অবশ্য দুজনেই ফিরেছেন এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে কোচ-অধিনায়ক-ফুটবলারদের রসায়নে শৈল্পিক ফুটবল খেলে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে জয় দিয়ে শুরু করেছে ২০১৬ সাল। এক বছরের ব্যবধানে ফের মাঠে গড়াল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। গত বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মালয়েশিয়া অলিম্পিক দল। রানার্স আপ হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় দল। এবার বাংলাদেশ অলিম্পিক দলও অংশ নিচ্ছে টুর্নামেন্টে। মোট আট দলের টুর্নামেন্টের প্রথম চারটি ম্যাচের আয়োজক যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম। কাল ছিল উদ্বোধন। উদ্বোধনী ম্যাচেই বড় জয় পেলেন মামুনুলরা। স্বাগতিকদের পক্ষে গোলগুলো করে শাখাওয়াত হোসেন রনি ২, নাবিব নেওয়াজ জীবন ও ইয়াসিন খান। উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে এই মাঠেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয়টি ১১ নম্বর। কাল বাংলাদেশ খেলতে নামে হেমন্ত ভিনসেন্টকে ছাড়া। তাতে আক্রমণে কোনো সমস্যা হয়নি মারুফ বাহিনীর। শুরু থেকেই গোল পেতে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আক্রমণ চালায় মামুনুল বাহিনী। ১৭ মিনিটে সেই আকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি আসে। বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি আনেন রনি (১-০)। ডান প্রান্ত থেকে ইয়াসিনের ক্রসে ডান পায়ের টোকায় গোল করেন রনি। ২০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা আনে শ্রীলঙ্কা (১-১)। ২২ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মামুনুলের কর্নারে ভেসে আসা বলে চমত্কার হেডে দলকে এগিয়ে নেন ইয়াসিন (২-১)। পাঁচ মিনিটে তিন গোল! প্রথমার্ধে আরও এক গোল পায় মামুনুল বাহিনী। ৪২ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জাহিদের ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কান রক্ষণভাগ। তাতে গোল পেতে অসুবিধা হয়নি বাংলাদেশের এবং জীবন তৃতীয় গোলটি করেন আলতো টোকায় (৩-১)। প্রথমার্ধে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যান মামুনুলরা।  দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে শ্রীলঙ্কা এবং ৫১ মিনিটে চতুরঙ্গ সঞ্জিবা গোল করে ম্যাচে উত্তেজনার সৃষ্টি করেন (৩-২)। গোলটি অবশ্য বাংলাদেশের মধ্যমাঠের জামাল ভুঁইয়ার দোষে হয়। টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও ৮৬ মিনিটে তাতে জল ঢেলে দেন রনি। স্বাগতিক গোলরক্ষক শহীদুলের বল ক্লিয়ার করতে লঙ্কান রক্ষণভাগের দুমিদু হেত্তিয়ারাচ্চি ব্যাক হেড করেন, যা আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে গোলে ঢুকার মুহূর্তে রনি পা দিয়ে স্পর্শ করে গোলসংখ্যা চারে উন্নীত করেন (৪-২)।

ওই গোলের অল্প কিছু পর রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজানোয় মামুনুলদের বুক থেকে যেন হাজারমণী পাথড়ের বোঝা নেমে যায়। ম্যাচ শেষে তাদের উচ্ছ্বাসই তার প্রমাণ। আজ মালয়েশিয়া-নেপাল ম্যাচ।

সর্বশেষ খবর