শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিচারহীনতা অপরাধের সাহস জোগায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচারহীনতা অপরাধের সাহস জোগায়

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, একটি বিচারহীনতা, অন্য একটি অপরাধের সাহস জোগায়। সব অপরাধ আপসযোগ্য নয়। বিচারের কণ্ঠ রোধ মানে অবিচারকে লালন করা। ব্যক্তি যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন, অন্যায়ের পরিণতির কথা ভাবতে হবে। কেউ যেন আপসের নামে বিচার বিলম্বিত না করতে পারে, এ জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অন্যায়ের যেন প্রতিকার হয়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, অর্থবিত্তের প্রাচুর্য, মাদকদ্রব্যের বিস্তার, সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় শুধু প্রভাব বিস্তার করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামে গ্রামে মানুষ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব্বে লিপ্ত হয় এবং হত্যার মতো নির্মম ঘটনা ঘটে। মামলা হয়। কিন্তু মামলা চলার সময় দেখা যায়, উভয়ের মধ্যে আপস-মীমাংসা হয়েছে। অনেককে মীমাংসা করতে বাধ্য করা হয়। এতে অপরাধীরা মুক্তি পেয়ে যায়। অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। আবার বেরিয়ে তারাই অপরাধ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামাজিক শালিস প্রশংসনীয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সব অপরাধ আপসযোগ্য নয়। একটি বিচারহীনতা, অন্য এক?টি অপরাধের সাহস জোগায়। বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে রোধ করতে হবে। আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে হবে। দেশে একসময় বিচারহীনতার রেওয়াজ ছিল। এ জন্য দেশকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। আজ বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। পদ্মা সেতু সম্পর্কে অর্থ সচিবের সঙ্গে তার কথোপকথনের উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আমাদের মনোবল এমনভাবে বেড়ে যাবে, ‘আমরা শুধু পদ্মা সেতু বা আরও একটা সেতু করব না, আমরা বিদেশেও এ ধরনের অন্য কোনো সেতু করার জন্য প্রতিযোগিতা করতে পারব।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সভাপতি সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুন নূর প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর