সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাতিল করা হচ্ছে ৫৭ ধারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাতিল করা হচ্ছে ৫৭ ধারা

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন-২০১৬ পাস হলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ ধারা বাদ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো স্পষ্ট করা হবে। ফলে ৫৭ ধারা নিয়ে যে শঙ্কা— তা আর থাকবে না।’ গতকাল দুপুরে আইনটির খসড়া নিয়ে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ৪৩টি ধারা আমরা যাচাই-বাছাই করেছি। কিছু কিছু জায়গা ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যে খসড়া প্রস্তুত করেছে— তাতে আমরা সম্মতি দিয়েছি এবং সেভাবেই তারা ভেটিংয়ে পাঠাবে। কিছু কিছু জায়গা সংশোধন করা হবে। কিছুদিন আগেও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা ও আপত্তি ছিল। আমার মনে হয় সেসব আলোচনা, দুশ্চিন্তা, শঙ্কা দূর হবে। মন্ত্রী বলেন, আইসিটি সেক্টরকে যেহেতু আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, সেহেতু কিছু কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্ব দেবেন। কারণ বিশ্ব পরিস্থিতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে সাইবার ক্রাইমই সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, আমাদের পেনাল কোডে যেসব অপরাধ হয় ডিজিটাল মাধ্যমেও সে ধরনের অপরাধ করা যায়। সাইবার ক্রাইম হত্যা ও ধর্ষণের চেয়েও মারাত্মক। সেটাকে অপরাধ বিবেচনা করে তার শাস্তির ব্যবস্থা এই আইনে রয়েছে। এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছর রাখা হয়েছে। অপরাধ বিবেচনায় সর্বনিম্ন সাজাও রাখা হয়েছে। তবে সর্বনিম্ন সাজা কত রাখা হয়েছে তা নির্ধারিত হয়নি। মন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের ওপর অবিচার হবে— এমন কোনো আইন অন্তত শেখ হাসিনার সরকারের সময় হবে না। আপনাদের দৃষ্টি বিবেচনায় নিয়ে এ আইনের মধ্যে যা করার সবই করা হবে। ৫৭ ধারা নিয়ে যে সংশয় ছিল তা আর থাকবে না। বিদ্যমান আইনের সঙ্গে যেন কোনো সংঘর্ষ না থাকে— তাও সর্বশেষ এ আইনে দেখা হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অনলাইনে একটি অপরাধ হলে তার প্রভাব অনেক বেশি, প্রচারও বেশি। অফ লাইনে সেটা কম। অনলাইনে যে পরিবার বা রাষ্ট্রীয় জীবনে যে ঝুঁকি— তা প্রত্যেক রাষ্ট্র অনুভব করছে। এখন একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার জন্য এটম বোমা হামলার প্রয়োজন নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর