বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

আমি পলাতক নই

—রুহুল আমিন হাওলাদার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমি পলাতক নই

জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বললেন, আমি পলাতক নই। আমি প্রকাশ্যেই আছি। জনগণের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। একটি মামলায় ভুল বোঝাবুঝির কারণে তার ‘পলাতক’ থাকা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ অফিসে এসে কোনো মামলায় তিনি পলাতক নন বলে দাবি করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন এরশাদ সরকারের সাবেক এই বস্ত্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে মামলা নিয়ে আমাকে পলাতক বলা হয়েছে, সেই মামলায় আমি হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছি। আমার বিরুদ্ধে আদালত থেকে কোনো সমন জারির খবরও জানা নেই। ‘চার বছর পলাতক রুহুল আমিন হাওলাদার!’ শিরোনামে বাংলাদেশ প্রতিদিনে গতকাল একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর বিএনপি সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে মামলাটি দায়ের করে। মানবিক কারণে যশোরের বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের একজন নিরীহ শ্রমিকের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে সুপারিশ করেছিলাম। সেই সুপারিশই পরে কাল হয়ে দাঁড়ায়। যদি আমাকে বলা হতো, সেই বেতন দেওয়া যাবে না বা কোনো সমস্যা রয়েছে, তাহলে হয় তো সুপারিশ নাও করতে পারতাম। সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, যশোরের অভয়নগর থানায় দায়ের করা মামলাটি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়। মহাজোট সরকারের শুরুর দিকেই রাজনৈতিক মামলা হিসেবে এটা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনের প্রতি সবসময়ই আমার গভীর আস্থা রয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সাল পর্যন্ত আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ২৯টি মামলা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে অনেক মামলায় আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। বাকিগুলোতেও আমি ন্যায়বিচার পাব বলে আশা রাখি। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ২৮ জুলাই দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক সুখরঞ্জন মোসাদ্দার বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। ১৯৯৪ সালের ১৪ নভেম্বর সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মীর শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট  দেওয়া হয়। সিবিএ নেতা মীর শহিদুল্লাহ বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর