শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

লন্ডনে তারেকের কাছে সমন পৌঁছেছে কিনা জানানোর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ পাচার অভিযোগের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের নতুন ঠিকানায় আত্মসমর্পণের সমন পৌঁছেছে কি না, তা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের কাছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ৬ এপ্রিল ধার্য করা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেকের ঠিকানায় পৌঁছেছে কি না, সে বিষয়ে সিএমএমকে জানাতে নির্দেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর তারেকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

গত ২৯  ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানায় সিএমএম আদালত থেকে সমন পাঠানো হয়। তারেক রহমানের ঠিকানায় সমন পৌঁছেছে কি না, ৩ মার্চ শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর তারেক রহমানের সমন যে ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে, সেই ঠিকানায় তিনি নেই বলে লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশন হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয়। তাই সেদিন নতুন ঠিকানায় চিঠি পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে ৩১ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নির্মাণ কাজ পাইয়ে দিতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়। এই টাকা থেকে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) বলা হয়। ওই মামলায় বিচার শেষে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত রায় দেন। রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস এবং মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মামুনকে ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন হাইকোর্ট।

সর্বশেষ খবর