বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
মুয়াজ্জিন হত্যাকাণ্ড

পুলিশের ধারণা পূর্বশত্রুতা, পরিবার বলছে পরিকল্পিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার ইসলামপুরে মসজিদের মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পরিবার ও স্থানীয়রা বলছেন মুয়াজ্জিন হত্যাকাণ্ড ‘রহস্যজনক’। আগেও তাকে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় থানায় জিডি করা হলেও পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবেই করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জেরেই মুয়াজ্জিনকে হত্যা করা হয়েছে। গত সোমবার পুরান ঢাকার ইসলামপুরে ঝব্বু খানম জামে মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিন বেলালের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. ইয়াসিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর মসজিদের ইমাম, খতিবসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার দেখানো হয়নি। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, থানা পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও এর ছায়া তদন্ত করছে। তবে হত্যার ধরন ও বিভিন্ন বিষয়াদি যাচাই-বাছাই করে আমরা ধারণা করছি ব্যক্তিগত বিরোধের জের থেকেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। সব কিছু বিশ্লেষণ করে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আপাতত জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তবুও সবদিক বিবেচনা করে তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ৯ মাস আগের করা জিডি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করলে বেলালকে নৃশংসভাবে খুন হতে হতো না। এখন হত্যা মামলার তদন্ত কতটুকু অগ্রসর হয় তা দেখার বিষয়। নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী ইয়াসিন বলেন, বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার কিংবা দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করতে পারেনি। আগে একবার প্রাণ বাঁচাতে বাবা জিডি করেছিলেন। সেই জিডি করেও কোনো লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাবাকে নৃশংসভাবে খুন হতে হলো। পুলিশের কাছে দাবি অন্তত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, বেলাল হত্যার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। গতকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় ২০-২২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর