মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের অংশ বাড়ানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, এটা ভাবতে দুঃখ লাগে যে বাংলাদেশের স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের অংশ খুবই সামান্য। ইতিহাস শেখার যে গুরুত্ব তা মাধ্যমিক পর্যায়ে গড়ে তোলা প্রয়োজন। তা না হলে পরবর্তী পর্যায়ে ইতিহাসচর্চা দুর্বল হতে বাধ্য। গতকাল ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সুবর্ণজয়ন্তী, দ্বিবার্ষিক জাতীয় ইতিহাস সম্মেলন ও সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এবং ২২ বিশিষ্টজনকে ইতিহাসে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া গত তিন বছরে প্রকাশিত ইতিহাসসংশ্লিষ্ট তিনটি বইয়ের লেখককে পুরস্কৃত করা হয়। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, অতীত ভবিষ্যতে চলার প্রেরণা দেয়। সব সময় অতীতের পর বর্তমান এবং ভবিষ্যেক নির্মাণ করতে চাই। কাজেই সেই ভিত্তিটাকে ভালো করে ধরে রাখতে হবে। এর বাইরে ইতিহাসবিদ ও গবেষকরাও সাধ্যমতো ইতিহাসচর্চায় এগিয়ে আসবেন এবং ইতিহাসের কাজ আরও সমৃদ্ধ করবেন। বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ের মধ্যে ইতিহাসচর্চা আরও গুরুত্ব পাবে বলে এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ বলেন, নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ইতিহাস পরিষদ অব্যাহতভাবে বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা ও গবেষণা করে যাচ্ছে। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বরং বাংলা ভাষায় ইতিহাসচর্চার প্রথম সংগঠন।