শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
পুলিশের দাবি

মোসাদ সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছেন আসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া আসলাম চৌধুরী তার বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ প্রমাণের মতো’ অনেক তথ্যই দিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকারের পাশাপাশি আসলাম চৌধুরী অনেক তথ্য দিয়েছেন, যাতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসলাম চৌধুরীকে গত বুধবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে আসলাম চৌধুরীর কাছে কী তথ্য পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নে মনিরুল ইসলাম বলেন, ভারতে কার কার সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে, কারা কারা জড়িত ছিল, কাদের কাদের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আসলাম চৌধুরী সেখানে গিয়েছেন, কারা কারা তাকে উৎসাহিত করেছেন এই কাজে, পরে কী পরিকল্পনা ছিল তেমন অনেক কিছু তিনি বলেছেন। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রামে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, বিদেশি মদদে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে খুঁজে বের করা হবে। গত রবিবার সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে মিতুকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্বামী এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তদের ব্যবহূত মোটরসাইকেল ও ঘটনার সময় সেখান থেকে যাওয়া দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আবু নছর নামের এক শিবিরকর্মীকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ভারতের এক সম্মেলনে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর সাক্ষাতের ছবি ও খবর গণমাধ্যমে এলে আলোচনার সূত্রপাত হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারকে উত্খাত করতে বিএনপি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে মিলে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল কিংবা মোসাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ সত্য নয়, আসলামের ওই সফর ছিল ‘ব্যক্তিগত’। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ১৫ মে ঢাকার খিলক্ষেত থেকে আসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর ২৬ মে গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে তিন দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর