শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

লুটপাট নিয়ে চিন্তিত অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

লুটপাট নিয়ে চিন্তিত অর্থমন্ত্রী

ব্যাংক খাতের লুটপাট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংক সেক্টরে যে লুটপাট হচ্ছে, এটা নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত এবং এটা যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।’ গতকাল জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেট পাসের আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে বরাদ্দকৃত অর্থের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তার আগে ছাঁটাই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ব্যাংকিং খাতের লুটপাট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপিরা। ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন কাজী ফিরোজ রশিদ, ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম ওমর, সেলিম উদ্দিন। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী এবং মো. আবদুল মতিন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘ব্যাংক হচ্ছে লুটপাটের আধার। লুটপাট হবে আর আমরা টাকা দিয়ে যাব—এটা হবে না।’ অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নিজেরা টাকা জোগার করে দেন না। এখন ছিনতাইকারীরা রাস্তায় ছিনতাই করে না। সমস্ত ছিনতাই হয় এখন ব্যাংকে।’ নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘টাকা দেওয়ার কোনো অর্থ নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।’ স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘আগে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনা দরকার। যে টাকা লুটপাট হয়েছে, পাচার হয়েছে— সেই টাকা আনার জন্য জাতিকে আশ্বস্ত করবেন কি না?’ এমন সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব ছাঁটাই প্রস্তাব এসেছে, প্রস্তাবকরা সবাই ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে— সেই সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরেছেন। সে জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ব্যাংক সেক্টরে যে লুটপাট হচ্ছে এটা নিয়ে আমিও খুবই চিন্তিত এবং এটা যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা টাকার দায়িত্ব গ্রহণ করি। কারণ এই টাকাটা গরিব জনগণেরও হতে পারে, আবার ধনী জনগণেরও হতে পারে। এমন হলে তাদের অসুবিধা হয়। তাদের অসুবিধা রাষ্ট্র করতে পারে না। এ জন্য রাষ্ট্র এই দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং করছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা তদন্ত চালাচ্ছি এবং তদন্তের পরে মামলাও হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর