বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

গত অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমেছে

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতির পরিমাণ এর আগের অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। আগের অর্থবছরে (জুলাই ’১৪-জুন ’১৫) গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত অর্থবছরে (জুলাই ’১৫-জুন ’১৬) এ হার ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে গত অর্থবছরের জুন মাসে মূল্যস্ফীতি সার্বিকভাবে কিছুটা বেড়েছে। জুন মাস শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশে। আগের মাসে এর পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। জুন মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের মাসে এ হার ছিল ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশে। আগের মাসে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সপ্তম-পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি কম হয়েছে। এটা সরকারের অন্যতম সাফল্য।

কোস্টগার্ডের জন্য ৪৪৫ কোটি টাকার জলযান প্রকল্প : উপকূলীয় অঞ্চলে চোরাচালান, ডাকাতি, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন ধরনের ১৪টি জলযান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন প্রকার জলযান নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একনেক সভায়  মোট ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭০০ কোটি ৮ লাখ টাকা। এদিকে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। মাঝপথে এসে প্রকল্পের ব্যয় ও সময় যাতে না বাড়ে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একনেক  চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় মোট ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭০০  কোটি ৮ লাখ টাকা। এর পুরো টাকাই সরকারি তহবিল থেকে  জোগান দেওয়া হবে। তিনি বলেন, গত ২০ বছর ধরে উপকূলীয় অঞ্চলে চোরাচালান, ডাকাতি, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটির কাজ আরও গতিশীল করতে ৪৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন প্রকার জলযান নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় ১৪টি জলযান ক্রয়সহ বিভিন্ন সংখ্যক ভৌত স্থাপন নির্মাণ করা হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

একনেক সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো— ৫২ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জেলা সদর ও ব্যাটালিয়ন আনসার ও ভিডিপির ব্যারাকসমূহের ভৌত সুবিধাদি সম্প্রসারণ’ প্রকল্প। ৮৭  কোটি ৪৬ টাকা ব্যয়ে ‘আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ই-জুডিশিয়ারি পাইলট প্রকল্প এবং বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ’ প্রকল্প। শিল্প ও শক্তি বিভাগের ‘বিসিক শিল্প নগরী, ভৈরব (১ম সংশোধিত) ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৯১ টাকা। এ ছাড়া ৪১ কোটি ৫৮ টাকা ব্যয়ে ‘ব্যালেন্সিং, মডার্নাইজেশন, রিনোভেশন অ্যান্ড এক্সপানশন (বিএমআরই) অব দ্য এক্সিসটিং ক্লথ প্রসেসিং সেন্টার অ্যাট মাধবদী, নরসিংদী (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।

সর্বশেষ খবর