শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

উদ্‌ঘাটন হলো না সেই দুই ব্যবসায়ীর মৃত্যুরহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাচ্-বাংলা চেম্বারের সভাপতি হাসান খালেদ ও দৃক্ গ্যালারির হিসাবরক্ষক মো. ইরফানুল ইসলামের মৃত্যুরহস্য আজও উদ্ঘাটন হয়নি। পুলিশ বলছে, বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত এখনো চলছে।

প্রসঙ্গত, ২৩ জুলাই ডাচ্-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাসান খালেদ নিখোঁজ হন। আর দৃক্ গ্যালারির হিসাবরক্ষক মো. ইরফানুল ইসলাম নিখোঁজ হন গত ২ এপ্রিল। নিখোঁজের দিন সকালে হাসান খালেদ ওষুধ কিনতে ধানমন্ডির ৪/এ নম্বর সড়কের বাসা থেকে বের হয়েছিলেন বলে দাবি তার পরিবারের। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে হাসান খালেদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার শ্যালক শরীফুল আলম। এরপর ২৬ জুলাই কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ থানার মাঝামাঝি খোলামোড়া ঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে হাসান খালেদের লাশ পাওয়া যায়। এদিকে ২ এপ্রিল বেলা সোয়া ১১টায় ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক থেকে ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা তুলে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন দৃক্ গ্যালারির প্রধান হিসাবরক্ষক ও অ্যাডমিন অফিসার মো. ইরফানুল ইসলাম। এ ঘটনায় দৃকের মহাব্যবস্থাপক এস এম রেজাউর রহমান কলাবাগান থানায় একটি জিডি করেন। ৩ এপ্রিল দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় ইরফানুল ইসলামের লাশ পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেন। দুটি ঘটনার তদন্ত মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) করছে বলে জানিয়েছেন কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসির আরাফাত খান ও ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া। হাসান খালেদের মৃত্যুর ঘটনায় ২ আগস্ট রাতে ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন হাসান খালেদের ভাই মুরাদ হাসান। পরিবারের দাবি, হাসান খালেদ নিখোঁজ হওয়ার সময় তার সঙ্গে দুটি মোবাইল ফোন সেট ছিল। ধানমন্ডি থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে বাসার সামনেই হাসান খালেদের মোবাইল নম্বর দুটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনি কোথায় গেছেন, তা আর শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ হাসান খালেদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করেও সন্দেহজনক কোনো তথ্য পায়নি। নিখোঁজের তিন দিন পর বুড়িগঙ্গা থেকে লাশ উদ্ধারের পর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হোসেন জানিয়েছিলেন, গলিত অবস্থায় বুড়িগঙ্গার ঘাটে লাশটি দেখে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় লাশের প্যান্টের পকেটে থাকা ভিজিটিং কার্ড দেখে হাসান খালেদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তবে তার শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। হাসান খালেদের মৃত্যুরহস্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত চলছে। আর এতে কোনো কিছু অগ্রগতি থাকলে জানানো হবে। ইরফানুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়ে মহানগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) এ এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ওই ঘটনার মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য বর্তমানে সিআইডিতে আছে।

সর্বশেষ খবর