মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

বসুন্ধরার আগুন নিয়ন্ত্রণে

ক্ষয়ক্ষতি ও কারণ জানার চেষ্টা চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরার আগুন নিয়ন্ত্রণে

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে গতকাল পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত কর্মীরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর অভিজাত বিপণিবিতান বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ষষ্ঠ তলার আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটনে গঠিত ফায়ার সার্ভিস ও অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতামূলক কিনা তা-ও খতিয়ে দেখছে কমিটি। একই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু হয়েছে। জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটের সি-ব্লকেই বেশি ক্ষতি হয়েছে। অন্য কোনো ফ্লোরে তেমন ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ষষ্ঠ তলার সি-ব্লকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর ঠিক অল্প সময় আগেই খুলেছিল মার্কেট। সেখানে আগুন লাগার মতো কোনো বস্তু ছিল না। তবুও এত অল্প সময়ের মধ্যেই এ আগুন কীভাবে লাগল এবং কীভাবে তা দ্রুত ছড়িয়ে গেল? নাকি কোনো দুষ্কৃতিকারী পরিকল্পনামাফিক এ আগুন লাগিয়েছে তা বের করতেই কমিটি কাজ করছে। তদন্তে এসব বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিটির এক সদস্য। তিনি আরও বলেন, কেবল চামড়াসামগ্রীর কারণে আগুন নেভাতে অনেক সময় লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান বলেছেন, প্রতিটি দোকানের শাটার ভেঙে ‘সুপ্ত আগুন’ নেভানো হয়েছে। ক্ষতি কেমন হয়েছে তা জানতে চাইলে বলেন, এটা বলা কঠিন, কারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০০ দোকান। কমিটি ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে। উপপরিচালক অজিত কুমার রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কাজ করছে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকেও জনপ্রিয় ওই শপিং মলের ষষ্ঠ তলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণে। মার্কেটের সামনের চত্বরে ছিল তাদের দুটি গাড়ি। রবিবার ছয় তলার সি ব্লকের একটি জুতার দোকানে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানে। প্রাথমিকভাবে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুনের ছড়িয়ে পড়া ঠৈকিয়ে দিলেও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের ভিতরের সামগ্রী ধিকি ধিকি জ্বলছিল। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শপিং মলের সামনে এক ব্রিফিংয়ে বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং এম এম জসিমউদ্দিন সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস এখনো আমাদের ওই ফ্লোর বুঝিয়ে দেননি। তারা এখনো কাজ করছেন। কাজ শেষ করে ফ্লোর বুঝিয়ে দিলে আমাদের টেকনিক্যাল কমিটি বৈঠকে বসবে। মার্কেট কবে চালু করা যাবে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ বসুন্ধরা সিটি দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এম এ হান্নানের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ষষ্ঠ তলার সি ব্লকের ১০০ দোকানের প্রায় সবই পুড়ে গেছে। এর বেশির ভাগ মোবাইল ও জুতার দোকান।

সর্বশেষ খবর