মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

জবি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, বংশাল রণক্ষেত্র

অচল পুরান ঢাকা

জবি প্রতিনিধি

জবি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, বংশাল রণক্ষেত্র

হলের দাবিতে গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অচল রাজধানীর বংশাল এলাকা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

নতুন হল নির্মাণের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বংশাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য বের হন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে তিনদফা বাধা দেয় পুলিশ। জজকোর্ট, রায়সাহেব বাজার ও সর্বশেষ তাঁতিবাজার মোড়ে এই বাধা দেওয়া হয়। বাধা ভেঙে পদযাত্রা বংশাল মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এ অবস্থায় উভয়পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা। জানা গেছে, পুলিশের হামলায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মিঠুন নামের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আন্দোলনকারীরা বংশাল থেকে ফিরে নয়াবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে পুরান ঢাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এলাকার দোকানপাট-ব্যাংক-অফিস-আদালত কার্যত এ সময় অচল হয়ে পড়ে।

এদিকে ছাত্রদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে দুদিনের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বেলা ১টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য দিয়ে বলেন, আমাদের ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে দুদিনের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজসহ সব পরীক্ষা বর্জন করে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট পালন করা হবে। তিনি আরও বলেন, মিছিল তাঁতিবাজার মোড় অতিক্রম করার সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরা সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায়। এরপরও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। হঠাৎ পুলিশ এসে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে করে আমাদের অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বংশাল থানার ওসি বলেন, শিক্ষার্থীদের ফিরে যেতে বলা হয়। বংশাল ক্রসিংয়ে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে মাত্র। কাউকে আটকও করা হয়নি। প্রসঙ্গত, নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায় নতুন হল নির্মাণের দাবিতে গত ২ আগস্ট থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।

সর্বশেষ খবর