মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

চার নারী জঙ্গি ফের রিমান্ডে

নিহতদের স্বজনের ডিএনএ সংগ্রহ

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জেএমবির চার নারী জঙ্গিকে ফের চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম এমদাদুল হক এ আদেশ দেন। রিমান্ড পাওয়া আসামিরা হলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বুরঙ্গি এলাকার শহিদুর রহমানের মেয়ে আকলিমা রহমান মণি, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মিকশিমিল এলাকার ডা. বিশ্বাস আক্তার হোসেনের মেয়ে ইসতিসনা আক্তার ঐশী, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে ইশরাত জাহান মৌসুমী ওরফে মৌ ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বেলতৈল এলাকার খোরশেদ আলমের মেয়ে খাদিজা পারভীন মেঘলা। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র?্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার শামসুল হক আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ ছাড়া এ মামলায় ফুয়াদ আল মেহেদী নামের আরেক আসামিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে একই আদালত। এর আগে ১৭ আগস্ট মিরপুর মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার হওয়া ওই চার নারীকে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ওই সময় এ চার নারী জঙ্গিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। এর আগে ১৬ আগস্ট র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন—র‌্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ওই চারজনকে গাজীপুরের সাইনবোর্ড, মগবাজার ও মিরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা জেএমবির নেত্রী।

কল্যাণপুরে নিহত সাত জঙ্গির স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ : রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিংয়ে (তাজ মঞ্জিল) পুলিশের অভিযানে নিহত নয় জঙ্গির মধ্যে সাতজনের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। নিহতদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে স্বজনদের নমুনা মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। আর ডিএনএ পরীক্ষার ফল হাতে আসার পরই লাশ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল নিহতদের পরিবারের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।

 তিনি বলেন, নয়জনের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা যায়নি। আর একজনের পরিবার থেকে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি। বাকি সাতজনের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এর ফল কবে পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পুলিশ জানায়, নিহতের মধ্যে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার বল্লভপুরের সোহরাব আলীর ছেলে আবদুল্লাহ, টাঙ্গাইলের মধুপুরের নূরুল ইসলামের ছেলে আবু হাকিম নাইম, ঢাকার ধানমন্ডির রবিউল হকের ছেলে তাজ-উল-হক রাশিক, সাতক্ষীরার তালা থানার ওমরপুরের নাসির উদ্দিন সরদারের ছেলে মতিয়ার রহমান, ঢাকার গুলশানের সাইফুজ্জামান খানের ছেলে আকিফুজ্জামান খান, ভাটারা এলাকার তৌহিদ রউফের ছেলে সেজাদ রউফ অর্ক, নোয়াখালীর সুধারাম থানার মাইজদী এলাকার আবদুল কাইয়ুমের ছেলে জোবায়ের হোসেনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২৬ জুলাই ভোরে কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিংএ পুলিশি অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হয়। ঘটনার পরদিন তাদের ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ।

সর্বশেষ খবর