মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

জিয়াসহ ১০ জঙ্গি ধরতে চিরুনি অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তকৃত মেজর জিয়াউল হক জিয়াসহ ১০ শীর্ষ জঙ্গিকে ধরতে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। অন্য নয় জঙ্গির মধ্যে রিপন, জাহাঙ্গীর, মারাজানের নাম এরই মধ্যে জানতে পেরেছে তারা। অবগত হয়েছে তাদের কর্মকাণ্ড এবং গতিবিধি সম্পর্কেও।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্র বলছে, খুব শিগগিরই হয়তো জিয়াসহ পলাতক শীর্ষ জঙ্গিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবেন তারা। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তদন্ত সূত্র বলছে, মেজর জিয়া এতটাই সম্মোহন ক্ষমতা সম্পন্ন যে, কোনো ব্যক্তি তার সঙ্গে অল্প সময় কথা বললেই তিনি সম্মোহিত হয়ে পড়বেন। সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় এক যুবককে তিনি উগ্রপন্থায় অনুপ্রাণিত করেছিলেন। পরবর্তীতে ওই যুবক জঙ্গিবাদে নাম লেখায়। গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পরার পর ওই যুবক এ বিষয়ে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, কমান্ডো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জিয়াকে গ্রেফতারের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করছেন। কারণ তিনি খালি হাতেও বিপজ্জনক। এ ছাড়া পলাতক রিপনও দুর্ধর্ষ বলে তথ্য রয়েছে। অনেকে রিপনকে তামিমের চেয়েও ভয়ঙ্কর বলে অভিহিত করে থাকেন। সূত্র আরও বলছে, মেজর জিয়ার সঙ্গে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত দুজন এবং চাকরিচ্যুত দুজন কর্মকর্তার যোগাযোগ ছিল। সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা হওয়ার কারণে জিয়া অনেক জঙ্গিকেই অপারেশনের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাদের অনেককেই দিয়েছেন হাতে কলমে প্রশিক্ষণ। তাদেরই একজন জেএমবির সামরিক কমান্ডার জাহাঙ্গীর। জানা গেছে, শুরুর দিকে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এক সময় মেজর জিয়া উগ্রপন্থায় ধাবিত হন। যোগ দেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে (এবিটি)। এবিটির আধ্যাত্মিক গুরু কারাবন্দী জসীম উদ্দীন রাহ্মানির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছিলেন বিপথগামী জিয়া। তদন্ত সূত্র বলছে, বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হওয়া এবিটির শীর্ষ পর্যায়ের জঙ্গিরা গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মেজর জিয়ার নামই বলেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, তামিমের পর জঙ্গিরা অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। জিয়াকে গ্রেফতার করতে পারলেই জঙ্গিরা একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়বে।

জঙ্গিদের ভাড়া দেওয়া বাড়ির মালিক তিন দিনের রিমান্ডে : নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন জঙ্গি যে বাড়িতে নিহত হন সে বাড়ির মালিক নুরুদ্দিন দেওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  জঙ্গিরা তার বাড়িতে অবস্থান করছে- এ তথ্য তিনি পুলিশকে না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, গতকাল দুপুর আড়াইটায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান তাকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসানের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে বিকেল পাঁচটায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সর্বশেষ খবর