মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভার বৈঠক

অপসারণের বিধান রেখে জেলা পরিষদ আইন সংশোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণের বিধান রেখে জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৬-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। শিগগিরই আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া আগামী ২০ বছরের জন্য সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার (এসটিপি) খসড়াও অনুমোদন  দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, জেলা পরিষদ আইনটি ২০০০ সালের। এটিতে কিছু বিষয়ে সংশোধন আনা হয়েছে, যাতে জেলা পরিষদের নির্বাচকমণ্ডলী গঠনের বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন প্রতিটি জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর; উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান; পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের দ্বারা। অর্থাৎ স্থানীয় পর্যায়ে স্থানীয় সরকারের সব স্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কলেজ অব ইলেক্টোরাল গঠিত হবে। তারাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচন করবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, জেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হবেন। শফিউল আলম জনান, নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণের বিধান যুক্ত করা হয়েছে সংশোধনীতে। জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হলে যদি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়, কিংবা তাকে গ্রেফতার করা হয় বা আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে (অভিযোগপত্র) তার নাম থাকে, তাহলে সরকার চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে। একই সঙ্গে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সরকার পরিষদের যে কোনো সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যানের ওপর ন্যস্ত থাকবে। চেয়ারম্যান প্রয়োজনে অন্য কাউকে ওই দায়িত্ব দিতে পারবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিদ্যমান আইনে জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দুর্নীতি বা নির্বাচনী অপরাধ করলে সাত বছরের সাজার বিধান রয়েছে। এর সঙ্গে সংশোধিত আইনে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান। এ ছাড়া জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের শপথের সময় পরিচিতির জন্য বাবা বা স্বামীর নামের সঙ্গে মায়ের নাম যোগ করার কথাও সংশোধিত আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর