বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসের অর্থদান নিয়ে জারগেনসেনের ভিন্ন কথা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে সাক্ষাত্ ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অর্থ প্রদানের বিষয় দুটিকে সম্পর্কিত করে অ্যাসোসিয়েট প্রেস যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন গ্রামীণ আমেরিকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ভিডার জারগেনসেন। ২৩ আগস্ট এপিতে ওই প্রতিবাদ ছাপা হয়। গতকাল ঢাকার ইউনূস সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

এপির প্রতিবেদনে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অর্থদাতাদের নাম হিসেবে অন্য অনেকের সঙ্গে শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ইউনূসের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গ্রামীণ আমেরিকা   এক লাখ থেকে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে দিয়েছে এবং গ্রামীণ রিসার্চ ২৫ হাজার ও ৫০ হাজার ডলার এর মধ্যে যে কোনো একটি অঙ্কের অর্থ ওই ফাউন্ডেশনকে দিয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনূস। এ ব্যাপারে গ্রামীণ আমেরিকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট ডিভার জারগেনসেনের প্রকাশিত প্রতিবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউনূস সেন্টার জানায়, ‘ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে প্রদত্ত গ্রামীণ আমেরিকা ও গ্রামীণ রিসার্চের সব চাঁদা প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের বার্ষিক সভায় ব্যক্তিগতভাবে যোগদানের জন্য আমি আমার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করেছিলাম। ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে প্রতি বছর চাঁদার পরিমাণ ছিল পনের হাজার ডলার করে। এর পরের বছর থেকে শুরু করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর জন প্রতি বিশ হাজার ডলার করে চাঁদা দিতে হয়েছে। প্রতি বছর এই চাঁদা আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পরিশোধ করেছি গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। ২০১৪ সালের পর থেকে যেহেতু আমি গ্রামীণ আমেরিকাতে কর্মরত ছিলাম না এবং ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভে আর আমার উপস্থিতি প্রয়োজনীয় মনে করিনি বলে আমি আর কোনো অর্থ দেইনি। মাঝখানে একবার ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে শিকাগো শহরে এক মিটিং এর জন্য আমি দেড় হাজার ডলার চাঁদা দিয়েছি। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নয় বছরে আমি মোট ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ ডলার চাঁদা দিয়েছি।

এপি রিপোর্টে এ ধরনের অঙ্কের কথাই বলা হয়েছে। আমি গ্রামীণ আমেরিকা ও গ্রামীণ রিসার্চের সঙ্গে জড়িত থাকাকালীন এই অর্থগুলো ছাড়া ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে আর কোনো অর্থ প্রদান করা হয়নি। গ্রামীণ আমেরিকা কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ করেছে এবং গ্রামীণ রিসার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অনেকগুলো দেশে ক্ষুদ্রঋণ ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করেছে। ওই বছরগুলোতে আমার কাজের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রামীণ আমেরিকা বা গ্রামীণ রিসার্চের মাধ্যমে এসব অর্থ আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রদান করেছিলাম।’

সর্বশেষ খবর