শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন নিষ্ক্রিয়

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

অলিগলিতে যত্রতত্র ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে উঠলেও আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠনের অস্তিত্ব নেই চট্টগ্রামে। আওয়ামী লীগের অস্তিত্বহীন সহযোগী সংগঠনে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ তাঁতী লীগ ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ। এর মধ্যে নগরে যুব মহিলা লীগের একটি কমিটি থাকলেও উত্তর ও দক্ষিণে নেই এ সংগঠনের অস্তিত্ব। সংগঠনগুলোর কমিটি থাকলেও কমপক্ষে  তিনটি সহযোগী সংগঠন নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি পালন করে না। প্রতিটি সমাবেশেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। এদিকে নিয়মিত কমিটি না থাকায় বেহাল অবস্থা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নিয়েই কোনোরকম টিকে রয়েছে সংগঠনগুলো। আওয়ামী লীগের বাইরে গিয়ে সভা-সমাবেশ আয়োজনে পিছিয়ে সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রায় অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে তাঁতী লীগ। চট্টগ্রামের কোনো দলীয় কর্মসূচিতে যেমন তাদের দেখা যায় না, তেমনি নেই নিজস্ব কর্মসূচিও। কেন্দ্রেও শোচনীয় পরিণতি সংগঠনটির। গত এক যুগেও সংগঠনের সম্মেলন করতে পারেনি দায়িত্বশীল নেতারা। যার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামেও। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হলেও কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নেই তাঁতী লীগের। ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে এনাজুর রহমান চৌধুরী আহ্বায়ক, খগেন্দ্র দেবনাথ, সাধনা দাসগুপ্তা ও সোহরাব হোসেন যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নগর যুব মহিলা লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক সভানেত্রী ও কাউন্সিলর আফরোজা কালাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০০৪ সালে আমাদের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ৬-৭ বছর এ কমিটির দায়িত্বে ছিলাম। এখন কমিটির কার্যক্রম নেই। তবে সম্প্রতি নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে এমন কথা শুনেছেন বলে তিনি জানান। 

বাংলাদেশ তাঁতী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদের এক নেত্রী বলেন, তাঁতী লীগের চট্টগ্রামে কমিটি না থাকার বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। এ কমিটি গঠনের জন্য স্থানীয় নেতাদের উদ্যোগ নিতে হবে। এতে আমরা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া হাতে নিতে পারব। অনেকেই কমিটি গঠনের জন্য আগ্রহ নিয়ে যোগাযোগ করলেও পরে উৎসাহ দেখা যায় না। একাধিক মহিলা নেত্রী বলেন, চট্টগ্রামে মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি থাকলেও যুব মহিলা লীগের অস্তিত্ব নেই। নগরে ২০০৪ সালে একটি কমিটি গঠন হলেও সে কমিটির কর্মকাণ্ড ছিল না। পরে অধ্যাপিকা সায়রা বানু রৌশনী আহ্বায়ক ও মমতাজ বেগম রোজী যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দলীয় সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকছেন। তবে পৃথক কর্মসূচি পালন করতে পারেনি সংগঠনের নেত্রীরা। মহিলা যারাই রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন তারা মহিলা আওয়ামী লীগের ব্যানারেই সভা-সমাবেশ করছেন। একই সঙ্গে সবাই মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী হিসেবেই নিজেদের পরিচয় দেন। সংগঠনের প্রভাব না থাকায় যুব মহিলা লীগ আলাদা দলীয় সভা-সমাবেশও হয় না চট্টগ্রামে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাতটি সহযোগী ও তিনটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রয়েছে। সহযোগী সংগঠনের মধ্যে রয়েছে যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও তাঁতী লীগ। ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হলো ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ।

সর্বশেষ খবর