শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
বিএনপির বিক্ষোভ আজ-কাল

নিকৃষ্টতম রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার ঢাকায় এবং আগামীকাল শনিবার দেশব্যাপী জেলা সদর ও মহানগরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকায় আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমানের পদক জাদুঘর থেকে সরানো বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতিতে বিভক্তি আরও বাড়াবে। তিনি বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রতিহিংসাপরায়ণ, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও গণবিচ্ছিন্ন। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে বলেন, যারা জিয়াউর রহমানের পদক কেড়ে নিচ্ছে, তারা মূলত স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। মির্জা ফখরুল বলেন, পদক প্রত্যাহার দেশের রাজনীতিতে ?খারাপ নজির সৃষ্টি করা হয়েছে। এর জন্য আমরা তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে পদকটি যথাস্থানে স্থাপন করারও আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ?এই সিদ্ধান্তে শুধু জিয়াউর রহমানকে হেয় করা হচ্ছে না, স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা অবদান রেখেছেন তাদের সবার জন্য এটি চরম অবমাননাকর। তিনি বলেন, ?সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করল যে, সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এ ধরনের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত দেশকে আরও বিভক্ত করবে। এটি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য ব্যক্তিদের অবমাননা করার শামিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ?স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকেই জিয়া একটি নাম, একটি কিংবদন্তি, একটি স্বপ্ন। তিনি আরও বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের একটি রায়ের অবজারভেশন থেকে সমগ্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক চিত্র বদলে দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এই অনৈতিক সরকার। ‘শহীদ জিয়া’ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটাননি। ১৯৭৫ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল আওয়ামী লীগের তৎকালীন সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জিয়ার অবদানকে অস্বীকার করে শুধুমাত্র আদালতের রায়ের বিকৃত ব্যাখ্যা করে তার পদক সরিয়ে ফেলে, মাজার সরিয়ে ফেলতে চায়; তারাই স্বাধীনতাবিরোধী। আদালতের রায়ের অপব্যাখ্যা দিয়ে ইতিহাস নির্ধারণ করা যায় না। সত্যের ওপর ভিত্তি করেই কালজয়ী ইতিহাস রচিত হয়। বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার শুধু ইতিহাস বিকৃতই করছে না, তাদের নিজেদের স্বার্থে দেশের স্থিতিশীলতা ধ্বংস করে স্বেচ্ছাচারিতার চরম নজির স্থাপন করে ভিন্ন রঙে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে। বহুমত, বহুপথ ও মুক্ত চিন্তাকে কবর দিয়ে ফ্যাসিবাদী একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে।

সর্বশেষ খবর