সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চীনের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল

নিজস্ব প্রতিবেদক

চীনের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চীন এখন তৈরি পোশাক খাতের বিনিয়োগ স্থানান্তর করতে চাইছে। বাংলাদেশ সেই বিনিয়োগের সম্ভাব্য স্থান হতে পারে। বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। এর মধ্যে একটি চীনকে দেওয়া হবে, যাতে তারা বিনিয়োগ করতে পারে।  গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ‘বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল  বৈঠকে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ভারতের মতো চীনের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু ভারতের নিয়ে যত আলোচনা হয়, চীনেরটা নিয়ে তত হয় না। যদিও এ দুই দেশ থেকে বেশি আমদানি করে বাংলাদেশই লাভবান হচ্ছে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের রপ্তানি ২৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসছেন, সে সময় বেশকিছু সমঝোতা স্মারক সই হবে। চীনকে বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, গার্মেন্ট পল্লীসহ অনেক বড় বড় প্রকল্পে চীন আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তবে চীন বাংলাদেশে যেসব প্রকল্পে অর্থায়ন করে, সেগুলোর ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধাও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। চীনের প্রকল্পে শর্ত দেওয়া হয় টেন্ডার দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রায় প্রশ্ন তোলেন বলে জানান তিনি। গোলটেবিল বৈঠক পরিচালনা করেন ইআরএফের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। বক্তব্য রাখেন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, বিএনপি নেতা সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান, বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, পিআরআইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. সাদেক আহমেদ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ। গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে হারে বাণিজ্য বাড়ছে, সে হারে বিনিয়োগ বাড়ছে না। তবে আশার কথা সম্প্রতি চীন থেকে যতটুকু বিনিয়োগ বাড়ছে, তা উৎপাদনশীল খাতেই বাড়ছে। যোগাযোগ সম্পৃক্ততা বাড়াতে চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ নীতি পরিকল্পনা আছে। এ পরিকল্পনায় বাংলাদেশ আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশের মংলা অথবা পায়রা বন্দরকে চীনের এ নীতিতে সম্পৃক্ত করতে সরকারি পর্যায়ে চেষ্টা করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশকে অনেকে খাটো করে দেখে। যেমন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বিশ্বব্যাংক। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা এবং চীনের সহযোগিতায় আজ পদ্মা সেতু হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর