শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনেও সচেতন হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশ ও মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালনে সচেতন হওয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। সাংবাদিকরা কেবল স্বাধীনতা ভোগ করবেন, সুবিধা ভোগ করবেন, কিন্তু দায়িত্ব পালন করবেন না, তা হতে পারে না। তাদেরও সমাজ ও দেশের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে, মানুষের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে। এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ৩১ তলাবিশিষ্ট ‘জাতীয় প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স’-এর ভিত্তিফলক স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে জাতির জনকের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গণতন্ত্রের নীতিমালা থাকবে, সাংবাদিকদের নীতিমালা থাকবে না তা হতে পারে না, দেশে সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা আছে। তাদের সেই নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

দেশে সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতা নেই বলে সমালোচকদের অভিযোগের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিষয়টি আসলে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা। এ দেশে সাংবাদিকতার যথেষ্ট স্বাধীনতা রয়েছে। যদিও আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে বলে বেড়ায়, এ দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। স্বাধীনতা না থাকলে তারা কীভাবে এ কথাগুলো বলছেন! তাদের অভিযোগের কথা কীভাবে প্রকাশ হচ্ছে? পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন ও টকশোতেও কীভাবে এত লেখা ও সমালোচনা করা হচ্ছে! সংবাদমাধ্যমের মালিক নিজে সম্পাদক হলে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়, এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশে যিনি মালিক, তিনিই সম্পাদক হয়ে যান! মালিক সম্পাদক হলে সাংবাদিকতা তখন সাংবাদিকতার মধ্যে থাকে না। সেখানে সাংবাদিকতার সুযোগটা মাঝে মাঝে একটু বাধাগ্রস্ত হয়। তাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার চেয়ে সাংবাদিকতার স্বাধীনতাই বেশি জরুরি।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের কল্যাণে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, বাংলার মানুষ কিছু পায়। জাতীয় প্রেসক্লাবও তার বাইরে নয়। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সুবিধা দিতে সরকার সবসময়ই কাজ করছে। আমরা তথ্য অধিকার আইন, তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টসহ সাংবাদিকদের কল্যাণে ১৮টি আইন ও বিধি করেছি। সংবাদপত্রের কর্মীদের জন?্য ইতিমধ্যে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে সাতশ’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ২৩-২৪টি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। আরও ৪৪টি টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য আবেদন পড়ে আছে। সরকার বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়ে সাংবাদিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, এখন তো সংবাদপত্রের চেয়ে অনলাইনের গুরুত্ব বেড়ে গেছে। তবে আমরা যারা আছি, আমাদের কাছে সকালে এক কাপ চা আর পত্রিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ! আজকের ছেলেমেয়েরা কিন্তু ল্যাপটপ আর ট্যাবেই সব দেখে আর পড়ে।

সর্বশেষ খবর