জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, র্যাব-পুলিশের মধ্যে দ্বন্দ্ব কোন পর্যায়ে আছে তা আমি বলতে পারছি না। আবার তাদের বিভিন্ন সময়ের কথার মাঝে এই দ্বন্দ্বের কিছু আভাস পাওয়া যায়। যদি তাদের মধ্যে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব থেকে থাকে তা অবশ্যই নিরসন করে ফেলতে হবে। এই দ্বন্দ্ব চলতে থাকলে তা আইনশৃঙ্খলায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে এবং ফেলার আশঙ্কা থাকে অনেক বেশি। যে কারণে পরিস্থিতিরও অবনতি হতে পারে। গতকাল সন্ধ্যায় টেলিফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাজী রিয়াজুল হক এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের মধ্যে দূরত্ব দিন দিন বাড়ছেই। হালে এই দূরত্ব দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুলিশ ও পুলিশের সহায়ক শক্তি র্যাবের মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব এখন আর গোপন নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরে পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে র্যাব প্রধানের লিখিত অভিযোগের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত নিয়ে র্যাব-পুলিশের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে এখন সারা দেশেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি মীমাংসার জন্য সম্প্রতি কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক আরও বলেন, আর এই দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য জরুরিভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবরা পুলিশের এবং র্যাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে পারেন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের দ্বন্দ্ব নিরসন করা যেতে পারে। উভয়ের মধ্যকার কোনো সমস্যা থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে এবং দূরত্ব কমিয়ে ফেলতে হবে। মাঝে মাঝে দেশে যে জঙ্গিবাদের উত্তাপ দেখা যায় তা মোকাবিলার জন্য পুলিশ-র্যাবের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকা ঠিক হবে না। তাদের সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় দুই সংস্থার সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।