শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্যাকেজ ভ্যাট কমানোর দাবি অগ্রহণযোগ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্যাকেজ ভ্যাট কমানোর দাবি অগ্রহণযোগ্য

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, যারা প্যাকেজ ভ্যাট কমানোর দাবি তুলেছেন তাদের সে দাবি অগ্রহণযোগ্য। এমন দাবি মেনে নিয়ে রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে সার্বিকভাবে ভ্যাটের হার কমানোর ব্যাপারে বিবেচনা করা যেতে পারে। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (ডিসিসিআই) ‘ট্যাক্স গাইড ২০১৬-১৭’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে অর্থমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতিরি পক্ষ থেকে প্যাকেজ ভ্যাট কমানোর দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। তবে রিটার্ন জমার পরিমাণ বাড়লে ভ্যাট হার কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। কাস্টম কমিশনারেট পশ্চিম অফিসের অধীনে ৭৭ হাজার ৫৮৭ নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান থাকলেও ভ্যাট প্রতিবেদন জমা দেয় মাত্র ১১ হাজার। বাকি ৬৬ হাজার প্রতিষ্ঠানই ভ্যাট প্রতিবেদন জমা দেয় না। এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ৭৭ হাজার নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১১ হাজার প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দেয়। যদি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশও ভ্যাট পরিশোধ করে, তবে ভ্যাট কমানো যাবে কিনা— বিবেচনা করা যেতে পারে। এ জন্য সবাইকে ভ্যাট প্রদানের আহ্বান জানান। ডিসিসিআই’র সহসভাপতি আতিক-ই-রাব্বানীর নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বর্ধিত প্যাকেজ-ভ্যাট কমানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখার কর্মসূচি পালন করেছে। প্যাকেজ-ভ্যাটের বিষয়ে দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্যাকেজ-ভ্যাট দ্বিগুণ করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে সর্বনিম্ন প্যাকেজ-ভ্যাট ছিল ১৪ হাজার টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। একইভাবে অন্যান্য সিটি করপোরেশনে ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা, জেলা শহরে ৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার টাকা এবং উপজেলায় ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর