বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আসুন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সমঝোতায় বসি। কী করে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী কমিশন করতে পারি সে ব্যাপারে আলোচনা করি। এ ব্যাপারে বিএনপির তরফ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গতকাল সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা  বলেন। নিরপেক্ষ সরকার, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন, জনগণের ভোটাধিকার ও অংশগ্রহণের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, এই কমিশন হতে হবে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অথবা স্বাধীনতার পর প্রথম জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন সব রাজনৈতিক দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে। বিএনপি চেয়ারপারসন ইতিমধ্যে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে তাদের উচিত ছিল এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো এবং জাতীয়ভাবে আলোচনার একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য যা কিছু দরকার তাই করছে। মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিজে একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির জন্য আন্দোলন করলেও তিনিই ওই ব্যবস্থা বাতিল করলেন। অন্য কোনো দেশে এভাবে জাতীয় পর্যায়ের কোনো নেতা অবস্থান বদল করলে মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করত। তিনি বলেন, ‘২০০৭ সাল যদি ধরেন, এখন পর্যন্ত প্রায় নয় বছর গণতন্ত্রহীনতায় আমরা রয়েছি। যদি কেউ মনে করেন, এর কোনো সমাপ্তি নেই, এটা চলতেই থাকবে তা ঠিক নয়। বিএনপির নেতৃত্বে আমরা আবার দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব।’ সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ড্যাব নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া প্রমুখ।