বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
একনেকে অনুমোদন

রূপপুর প্রকল্প ব্যয় এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকায় পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে (মূল পর্ব) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। একই সঙ্গে যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১২ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩৫ হাজার ৬৮ হাজার ৭৩ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ৬৩৭  কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ১৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা রয়েছে। শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল একনেকের সভায় এসব প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভার পর সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় থাকার সময়ই ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সে সময় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়াকে প্রকল্প পরিচালকও করেছিলেন। এরপর প্রকল্পটি থমকে যায়। এখন রাশিয়ার সহযোগিতায় এটি করা হচ্ছে। এটি হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের প্রকল্প। এই প্রকল্পে দুটি ইউনিটের মাধ্যমে ২ হাজার ৪০০  মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। প্রকল্পটি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে— রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (ফেজ-১) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১০৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভৌত অবকাঠামো ও গবেষণা সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। জাতীয় ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫০১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। বাংলাদেশ (ভেড়ামারা) ভারত (বহরমপুর) বিদ্যমান গ্রিড আন্তঃসংযোগের ক্ষমতা বর্ধিতকরণ (৫০০ মেগাওয়াট) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৭৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আনোয়ারা- ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। যমুনা রেলওয়ে  সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪  কোটি ৭ লাখ টাকা। সমগ্র দেশে শহরও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় জলাভূমি ব্যবস্থাপনা ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয় ৭৮০ কোটি টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১৯ কোটি ৪৬ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতা ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহের উন্নয়ন এবং নালা প্রতিরোধ দেয়াল, সেতু ও কালভার্টের নির্মাণ পুনঃনির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর