বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আমানতকারীদের স্বার্থ দেখছে না তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমানতকারীদের স্বার্থ দেখছে না তারা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, ব্যাংক পরিচালিত হয় জনগণের টাকায়। ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের স্বার্থ দেখার কথা বাংলাদেশ ব্যাংকের। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দি পিপলস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস করপোরেশন (পিডিএসসি) লিমিটেডের ১৯ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বেসরকারি উদ্যোগে ‘খেলাপি ঋণ আদায়ে সফলতা ও ব্যর্থতা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। পিডিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন পিডিএসসির চেয়ারম্যান এম এ রহমান প্রমুখ। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আরও বলেন, আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। কিন্তু একটি চক্র সমস্যা সমাধান করতে দিচ্ছে না। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা বিদেশে গিয়েও বিভিন্ন ব্যাংকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ব্যাংকের মালিকদের অর্থ মাত্র ১০ ভাগ আর ৯০ ভাগ জনগণের। জনগণের টাকায় যেহেতু ব্যাংক চলে সেহেতু ব্যাংক সম্পর্কে তাদের কথা বলা, স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজন আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যাংক আইন অনুযায়ী ক্ষমতায়ন করা হয়েছে জনগণের এসব ব্যাংককে তদারকি করার জন্য। তিনি বলেন, ব্যাংকে যারা চাকরি করেন তাদের ৯০ ভাগ ভালো লোক আর ১০ ভাগ খারাপ লোক। ব্যাংকের মালিকরা যেমন ১০ ভাগের মালিক হয়ে ব্যাংকের পুরো অধিকার ভোগ করেন তেমনি ১০ ভাগ দুর্নীতিবাজ ৯০ ভাগকে সৎ কর্মীকে জিম্মি করে দুর্নীতি করে। ইব্রাহিম খালেদ বলেন, যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ব্যাংকগুলো ঝরে পড়তে পারে মর্মে ১৯৮৬ সালে বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদন দিয়েছিল। তখন বিশ্বব্যাংক এফএসআরপি নামে ৫ বছরব্যাপী একটি প্রোগ্রাম চালু করে। বিশ্বব্যাংক তখন সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা ব্যাংকে চারজন বিদেশি কনসালট্যান্ট নিয়োগ করেছিল। বিদেশি প্রতিনিধিদের এই দল ৫ বছর ধরে সংস্কার করে ব্যাংকগুলোকে একটা পর্যায়ে নিয়ে আসে। ব্যাংকগুলোর অবস্থা তখন একটু ভালো হয়েছিল। ২০০০ সাল থেকে ব্যাংকগুলোর অবস্থা আবার খারাপ হতে শুরু করে। দুর্নীতিই এর জন্য দায়ী।

সর্বশেষ খবর