বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিলের আবেদন খালেদার

জোবায়দার রিটের রায় যে কোনো দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিলের আবেদন খালেদার

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে এটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, ‘নিম্ন আদালতে এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ বাতিল চেয়ে রবিবার আমরা হাই কোর্টে আবেদন করেছি। গতকাল আবেদনটি ১২৭ নম্বর ক্রমিকে ছিল। তবে শুনানি হয়নি।’ মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার ঘটনায় ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাবের পরিচয় রয়েছে অভিযোগ করে গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার হাকিম আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। ওইদিন খালেদাকে হাজির হতে হবে।

জোবায়দা তারেকের আবেদনের রায় যে কোনো দিন : সম্পদের তথ্য গোপন মামলা বাতিলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের আবেদনে দেওয়া রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে এ মামলার রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছে। যে কোনো দিন এ মামলার রায় দেওয়া হবে। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং জোবায়দার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, কায়সার কামাল ও রাগিব রউফ চৌধুরী। 

গত বছরের ২ নভেম্বর হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ এ মামলার রুল শুনানিতে বিব্রতবোধ করে। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য হাই কোর্টের এই বেঞ্চে পাঠান। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ২০০৮ সালে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর  থেকে তারা সেখানেই রয়েছেন। আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, ২০০৭ সালের ২৯ মে সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে তারেক রহমানকে নোটিস দেয় দুদক। ওই বছরের ৭ জুন তারেক রহমান সম্পদের হিসাব বিবরণী দুদকে জমা দেন। সম্পদের হিসাব বিবরণী তদন্ত করতে গিয়ে তারেকের স্ত্রী জোবায়দার নামে ৩৫ লাখ টাকার দুটি এফডিআরের সন্ধান পায় দুদক। দুদকের দাবি, এ ৩৫ লাখ টাকা তারেকের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের অংশ। এ কারণে তারেক, তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ও স্ত্রীর নামে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। পরবর্তীতে জোবায়দা রহমান আদালতে জানান, ওই ৩৫ লাখ টাকা তিনি তার মায়ের কাছ থেকে ২০০৫ সালে উপহার বাবদ পেয়েছেন এবং সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তার ব্যক্তিগত ট্যাক্স ফাইলেও বিষয়টি প্রদর্শিত হয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে ২০০৮ সালে মামলা বাতিল চেয়ে তিনি আবেদন করলে ওই বছরের ৮ এপ্রিল হাই কোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে। গতকাল সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়।

সর্বশেষ খবর