বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

হতাশ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন সদ্য নিয়োগ পাওয়া পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশনে ক্ষুব্ধ ও হতাশ বিএনপি। এ নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটি ও জোটের নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল রাতে গুলশান কার্যালয়ে ২০-দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি প্রধান। এতে জোট নেতারা সিইসিকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে অতীতে ভূমিকা পালন করেছেন বলেও জোট নেতারা জানান। তিনি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারবেন না। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের শরিক দলের নেতারা অংশ নেন।

বৈঠকে জোট নেতারা আরও বলেন, বিএনপি ও জোটের শরিক দলের নেতাদের দেওয়া নামের তালিকা থেকে কাউকে নেওয়া হয়নি। শুধু একতরফাভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের নেওয়া হয়েছে। এই কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।

এর আগে সোমবার রাতেও দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক স্থায়ী কমিটির সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, নুরুল হুদা জনতার মঞ্চের লোক। এ জন্য তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। একইসঙ্গে অন্য তিন কমিশনারও আওয়ামী লীগ সমর্থিত। বিএনপির দেওয়া তালিকা থেকে কাউকে দেওয়া হয়নি। নুরুল হুদার নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এদিকে গতকাল এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিএনপির  ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যে নামগুলো প্রকাশ করলেন এর মধ্যে একজন বিএনপির ও আরেকজন আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত বললেন। তবে বাকি তিন সদস্যকে সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিষয়ে আমি বেশি কিছু জানি না। শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি জনতার মঞ্চের মানুষ ছিলেন।  গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক দলের প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর কৃষক দল এ সভার আয়োজন করে। ঢাকা মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক নাসির হায়দারের সভাপতিত্বে এ সভা হয়। কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক দুদু বলেন, এখন যারা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের সম্পর্কে ক্যাটাগরিলি কিছু বলতে চাই না। তবে এ নির্বাচন কমিশনারও সঠিক দায়িত্ব পালন করবেন যদি নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকার হয়। দুদু বলেন, সমস্যা হচ্ছে দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন করলে কেমন নির্বাচন হয় তা আমরা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেখেছি।

সর্বশেষ খবর