সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইতিহাসে সর্বনিম্নে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা

প্রতিদিন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম জনপ্রিয়তায় অবস্থান করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট তাদের এক জরিপে জানিয়েছে, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম এক মাসে জনপ্রিয়তায় অতীতের সব প্রেসিডেন্টের চেয়ে তলানিতে অবস্থান করছেন ট্রাম্প। ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রথম এক মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের গড় রেটিং বা জনপ্রিয়তা হলো শতকরা ৬১ ভাগ। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবস্থান করছেন শতকরা ৪০ ভাগে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত সংস্থা গ্যালাপ ওই জরিপ পরিচালনা করেছে। এতে ১৫২৭ জন মার্কিন নাগরিকের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে বলা হয়েছে, মধ্য ফেব্রুয়ারিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য নেতাদের চেয়ে শতকরা ১১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছেন। এর আগে ক্ষমতার মেয়াদের প্রথম মাসের শেষ দিকে জনপ্রিয়তায় সর্বনিম্নে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তার জনপ্রিয়তা ছিল শতকরা ৫১ ভাগ। তবে জনপ্রিয়তার সর্বনিম্ন রেটিংয়ের একটু উপরে ছিলেন আরেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। এ পর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা ছিল শতকরা ৫৫ ভাগ। ওদিকে ক্ষমতা গ্রহণের সময়ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ছিল সর্বনিম্নে। রিয়েল এস্টেটের সাবেক ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা দুনিয়ায় আলোচনা, সমালোচনা। ক্ষমতায় এসেই তিনি সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আদালত তার এ আদেশ বাতিল করে দেয়। এ ছাড়াও ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করে তার সবচেয়ে শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সংবাদমাধ্যমকে। গবেষণা বলছে, তবে বহুল বিতর্কিত মুসলিমবিরোধী নির্বাহী আদেশ  তার জনপ্রিয়তার বেশি ক্ষতি করেছে। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ত্যাগ করেছেন মাইকেল ফ্লিন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোর শত্রু রাশিয়ার সঙ্গে তিনি, ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরের ও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন। রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের এই দহরম-মহরমকে অনেকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না।

ট্রাম্প মিথ্যাবাদী, অবিশ্বাসী : সাংবাদিক কার্ল বার্নস্টেইন। যার কারণে উদঘাটন হয়েছিল ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারির মতো ঘটনার। যে কারণে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল রিচার্ড নিক্সনকে। যা বার্নস্টেইনকে ইতিহাসের অংশ করে রেখেছে। এই বিখ্যাত মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক মন্তব্য করেছেন, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন ডাহা মিথ্যাবাদী ও অবিশ্বাসী। ১৯৭০-এর দশকে তিনি বব উডওয়ার্ড, বেন ব্রাডলিকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি উন্মোচন করেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ঘোষণা করেছেন তার প্রধান শত্রু সাংবাদিক ও গণমাধ্যম। তিনি এর মধ্যে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে আক্রমণ করে বক্তব্য রেখেছেন। তার জবাবে কার্ল বার্নস্টেইন বলেছেন, মিডিয়াকে আক্রমণ করায় রিচার্ড নিক্সনের চেয়েও বেশি অবিশ্বাসী হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কার্ল বার্নস্টেইনের টুইট অনুসরণ করেন ২৬ হাজার মানুষ। তাদের উদ্দেশে তিনি টুইট করেছেন। বলেছেন, সব সময়ই জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো প্রেসিডেন্টের মিথ্যা কথা। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের আক্রমণ নিক্সনের চেয়েও বেশি বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ। এ ছাড়াও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই কালজয়ী সাংবাদিক।

সর্বশেষ খবর