শিরোনাম
সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

আগামী অধিবেশনে সম্প্রচার আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী অধিবেশনে সম্প্রচার আইন

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সংসদের আগামী অধিবেশনেই সম্প্রচার আইন উত্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে সম্প্রচার কমিশন গঠিত হবে। এ কমিশন ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমকে ছাড়পত্র দেবে, তা বাতিলও করতে পারবে। এটা আধা বিচারিক শক্তিশালী সংস্থা হবে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা  বলেন। ডিআরইউর সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মামলায় ফেঁসে গেলে কী করবে এ বিষয়ে বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা জঙ্গিসঙ্গী ছাড়বে কি না। বিএনপির নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, যে প্রস্তাব বিএনপি থেকে দেওয়া হয়েছে, সেটি শুধুই চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। নির্বাচন কীভাবে ভণ্ডুল করা যায় এবং অস্বাভাবিক সরকার গঠনের ক্ষেত্র তৈরি করা যায়, এটি সেই চক্রান্ত। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেশের মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করার হুমকি। তিনি বলেন, একটি নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে আরেকটি নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় অনির্বাচিত নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রস্তাব কার্যত নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা এবং অস্বাভাবিক সরকার গঠনের ক্ষেত্র তৈরির চক্রান্ত। খালেদা জিয়া মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে দর-কষাকষির ক্ষেত্র তৈরি করতে চাইছেন। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার না হওয়াকে ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করে এই ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন বলে জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের গ্রাউন্ড ওয়ার্ক শেষ হয়েছে। এখন শুধু বোর্ডে সদস্য মনোনয়ন বাকি। এ সময় তিনি সম্প্রচার কমিশন আইন ও নীতিমালা নিয়েও কথা বলেন। ভারতীয় চ্যানেল নিয়ে গবেষণা হচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় চ্যানেল দেখার পর পরিবারে বিশৃঙ্খলা বেড়েছে, তালাক বেড়েছে—এ রকম কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য আমাদের কাছে নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব, এসব চ্যানেল দেখার পর সেখানেও পারবারিক কলহ দেখা দিচ্ছে কি না। তারা অনুমোদন নিয়েই প্রচার করছে।’ আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি আইনে কিছু সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছেন। আমার জানামতে, সাংবাদিকদের বেশির ভাগই কাজ করছেন। দু-একজন এ আইনের আওতায় পড়েছেন। এক নম্বরে পড়েছিলেন তথাকথিত আইনজীবী মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অনেক আইনই আছে, যেগুলো কার্যকরের সময় কিছু এদিক-ওদিক হয়। কিন্তু আদালতের নজরে এলে সেগুলো নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়। এরপরও আইসিটি আইনের আওতায় গ্রেফতার হলে যতবার নজরে এসেছে, সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আটাশ শর বেশি পত্র-পত্রিকা আছে। সেখানে কত হাজার সাংবাদিক কাজ করছেন? যদি সংখ্যাটা দেখেন, তাহলে এ আইন নিয়ে আপনারা তো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নন। আমি তর্কে যাব না। 

সর্বশেষ খবর