জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারমান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ৭১ সালে বাংলাদেশিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্যাতনকেও হার মানায়। তিনি বলেন, এ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে হবে এবং মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করতে হবে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গাচরে স্থানান্তরের আগে সে জায়গা মানুষের বসবাসের উপযোগী করতে হবে; নয়তো রোহিঙ্গারা আবারও মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। গতকাল সকালে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিদর্শনে আসা কমিশনের সদস্য মেঘনা গুহ ঠাকুর বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞ গণহত্যার শামিল। আমাদের এর প্রতিবাদ জানাতে হবে। একাত্তর সালে বাংলাদেশের মানুষ গণহত্যার কবলে পড়েছিল এমনই মন্তব্য করে মেঘনা বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে হোক বা যে কোনো সেমিনারে হোক এসব বিষয়ে কথা বলতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, সকাল ১০টায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে তাদের ওপর নির্যাতনের কথা শুনেন কমিশনের চেয়ারম্যান। এরপর পরিদর্শন করেন রোহিঙ্গাদের সেবা প্রদানকারী একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক। তাছাড়াও তিনি পরিদর্শন করেন উখিয়ার বালুখালী অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ইউএনডিপি, আইওএম, ইউএনসিআরসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এর আগে চেয়ারম্যান শুক্রবার রাতে কক্সবাজার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।