শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগে দুই পুলিশ শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। অগ্নিসংযোগে জড়িত দুই পুলিশ সদস্য হলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান ও কনস্টেবল মো. সাজ্জাদ হোসেন। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। আদালত প্রতিবেদনটি নথিভুক্ত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাইবান্ধা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার  (ডিবি) এসআই মাহবুবুর রহমান ও গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসের কনস্টেবল মো. সাজ্জাদ হোসেন সেদিন সাঁওতালদের ঘরে অগ্নিসংযোগ করেন বলে পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। পুলিশের অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের প্রতিবেদনে দুই পুলিশের জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ৫৮ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি সাঁওতাল পল্লীতে পুলিশের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করায় পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আশরাফুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এ ছাড়া আগুন লাগানোর ঘটনার দিন গোবিন্দগঞ্জের চামগাড়ী এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও প্রত্যাহার করতে বলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে চার সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজিকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি ও অতিরিক্ত ডিআইজির প্রতিবেদন দুটি আদালতে আসে। গত বছর ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীর চিনিকল কর্তৃপক্ষের জমি দখলে নিতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় গোলাগুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হন। সাঁওতাল পল্লীতে হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সময় আইন ও সালিস কেন্দ্র এবং সাঁওতালরা হাই কোর্টে তিনটি পৃথক রিট আবেদন করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর